আগামী ১৯ আগস্ট থেকে দেশে পুরোদমে চালু হচ্ছে গণপরিবহন, ট্রেন ও লঞ্চ। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদের জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোও খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটনকেন্দ্র-রিসোর্ট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে চালু হয়েছে দোকানপাট ও বিপণিবিতান। সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও অর্ধেক গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে আগামী ১৯ আগস্ট থেকে গণপরিবহন, ট্রেন ও লঞ্চগু আবারও পুরোদমে চলবে।
প্রজ্ঞাপনে যা বলা হয়েছে:
১. যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
২. পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।
৩. সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৪. যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এর আগে, সড়কে অর্ধেক পরিবহন চলবে জানিয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। রবিবার (৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সড়কে অর্ধেক পরিবহন চলবে। পরিবহনের যাত্রী, চালক, সহকারী ও টিকিট বিক্রেতাদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রা শুরু ও শেষে যানবাহন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
সরকারের ওই সিদ্ধান্তে বেশ সমস্যায় পড়ে যান পরিবহন মালিক সমিতি। তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।
গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ দ্য রিপোর্টকে জানান রাস্তায় অর্ধেক গাড়ি চলাচল নির্ণয় করা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচল করবে। এক্ষেত্রে এক মালিকের কয়টি গাড়ি আছে বা কতটি গাড়ি চালাচ্ছে দেশব্যাপী এ বিষয়টি নির্ণয় করা একদিকে যেমন কঠিন হবে অন্যদিকে শ্রমিকরাও বেকার থাকবে তাদের কষ্ট লাঘব শেষ হবে না। মালিকরাও ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, তাছাড়া দীর্ঘদিন পরে গাড়ি চালু হবে, যার একটি মাত্র গাড়ি আছে তার অবস্থা কি হবে? অর্ধেক গাড়ি চলাচল করলে পরিবহন সংকট দেখা দেবে এবং যাত্রীর চাপ বাড়বে। এতে করে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে। এসব দিক বিবেচনা করে মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সব গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।'