সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ইতোমধ্যেই সমাবেশ মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
রাজধানীর গুলিস্তান, ফকিরাপুল, মতিঝিল শাপলা চত্বর, কমলাপুর, নটরডেম কলেজ, হাটখোলা, মুগদা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে সমাবেশস্থলে পৌঁছায়। সমাবেশে আগত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হাতে শান্তি সমাবেশের ব্যানার-ফেস্টুন চোখে পড়ে। ঢাকা ও এর আশপাশের নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর,মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা সমাবেশে আসছেন।
শান্তি সমাবেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগি এই তিন সংগঠন জনসমুদ্রের প্রত্যাশা করছে। তিন সংগঠনের এ সমাবেশে কয়েক লাখ নেতাকর্মীকে টানার টার্গেট রয়েছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা বিভাগের সব জেলা থেকে নেতাকর্মীদের ঢাকায় শান্তি সমাবেশে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলা থেকে শতাধিক বাসে করে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশ যোগ দিচ্ছেন।
দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই সমাবেশ হবে। শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির বেশ কয়েকজন সদস্য, যুবলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে, বিএনপি ও সমমনা বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং আওয়ামী লীগের তিন সহযোগি সংগঠনের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীজুড়ে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের করা হয়েছে। সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক গোয়েন্দা সদস্যের পাশাপাশি পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর বেশ কয়েকটি টিম নিয়োজিত রয়েছে বল জানা গেছে।