ঈদের জামাতে হাজারো মানুষের ঢল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১৪, ২০২১, ১০:৪০ এএম

ঈদের জামাতে হাজারো মানুষের ঢল

দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আজ  শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ৭ টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নানা বয়সী মানুষ ঈদ জামাতে অংশ নিতে হাজির হন বায়তুল মোকাররমে।

নামাজে ইমামতি করেন মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।

নামাজ শেষে করা মোনাজাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। বালা মুসিবত থেকে দেশকে সুরক্ষা চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে।

নামাজের আগে মসজিদে মাইক থেকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে অংশ নিতে বলা হয়। করা হয় বিভিন্ন বয়ান, শোনানো হয় বিভিন্ন হাদিস।

মহামারীর মধ্যে গতবছরের দুই ঈদের মত এবারও ঈদগাহ বা খোলা ময়দানে ঈদের জামাত করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ঈদের নামাজ মসজিদে মসজিদেই হচ্ছে। সবাইকে বলা হয়েছে বাসা থেকে ওজু করে মাস্ক পরে মসজিদে যেতে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসা বাধ্যতামূলক। নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলানোতেও এবার নিষেধ ছিল।

প্রথম জামাতে যোগ দিতে সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই বায়তুল মোকাররমে আসতে শুরু করে মানুষ। বায়তুল মোকারমের বাইরে ছিল নামাজে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন।

ঈদ জামায়াতে শিশু ও বৃদ্ধদের অংশ না নিতে বলা হলেও দেখা গেছে অনেকে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের নামাজে এসেছেন। প্রবীণদেরও বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে দেখা গেছে।

মাইকে বার বার স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করার হচ্ছিল।মসজিদে  স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করছিল পুলিশ ।

বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাতে ঈদের নামাজ পড়েন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস।

নামাজ শেষে সবাইকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যারা ঈদ করতে ঢাকার বাইরে গিয়েছেন, তারা যেন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় না আসেন।

নিরাপত্তা জন্য বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি র‌্যাবের গাড়িও দেখা যায়। পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, পুরো এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন তারা।

 

Link copied!