দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। অন্য জেলাতেও তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিনই; সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ঘন কূয়াশাও পড়েছে। এতে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। যান চলাচলেও ঘটছে বিঘ্ন।
এসব জেলার ছিন্নমুল আর নিম্ন আয়ের মানুষেরা পৌষের শীত আর হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থায় দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। নিম্ন আয়ের মানুষদেরসন্ধ্যা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে হচ্ছে । কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে।পঞ্চগড়ে দুপুর বেলায়ও শীতের পোষাক পরে বা মুড়িয়ে লোকজনকে চলাফেরা করতে হয় ।তবে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের দিকে শীতের তীব্রতা আরও বেশি।
বাংলাদশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তেঁতুলিয়া শাখা আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, “জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে জানুয়ারি মাসে।”
এদিকে, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, “শীত মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলায় ২৩ হাজার ৬শত কম্বল দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।”