দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার টিকা পাওয়ার বয়সসীমা ১৮ বছর করতে যাচ্ছে। আগামী ৮ আগস্ট থেকে ১৮ বছর বয়সী ব্যক্তিরাও টিকা পাবেন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তারা কীভাবে টিকা পাবেন?
জানা গেছে, এনআইডি ছাড়া টিকা দেওয়ার বিষয়ে দেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার মাধমে একটি কার্যকরী পরামর্শও দিয়েছে।
রবিবার (১ আগস্ট) আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, এনআইডি না থাকলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশপত্র নিয়ে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা দিতে পারবেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, যাদের এনআইডি নেই, তাদের কীভাবে টিকা দেওয়া হবে এবং অনলাইনে নিবন্ধন করতে যারা পারবেন না, তারা কীভাবে টিকা পাবেন, সে বিষয়ে তারা বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে জুনাইদ আহমেদ বলেন, নিবন্ধনের কারণে যেন টিকা থেকে কেউ বঞ্চিত না হন, এটা যখন বলা হলো, তখন ডিজিটাল নিবন্ধনের পদ্ধতিকে সমন্বয় করে নেওয়ার জন্য আইসিটি বিভাগ পরামর্শ দেয়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে অন দ্য স্পট, অর্থাৎ কেন্দ্রে গিয়েই নিবন্ধন করে টিকা দেওয়া।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যার স্মার্টফোন নেই, ইন্টারনেট–সুবিধা অথবা প্রিন্টিংয়ের সুবিধা নেই, তারা কেন্দ্র গিয়ে এনআইডি দেখালে সেখানে নিবন্ধন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে টিকার কার্ডও আলাদা করে নিতে হবে না। কেন্দ্রেই একটি কার্ড থাকবে। সেখানে নাম-ঠিকানা, টিকার তারিখ, কোন টিকা এবং পরবর্তী টিকার তারিখ উল্লেখ থাকবে। টিকার পরে কার্ড দিয়ে দেবে। তবে এভাবেই টিকা দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
জানা গেছে,প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করছেন। আর টিকা দেওয়া হচ্ছে দুই লাখ জানিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারের কাছে এখন টিকা আছে এবং আরও টিকা আসছে। এখন দিনে যেন ৫০ লাখ নিবন্ধন হলেও সুরক্ষা সাইট তা হ্যান্ডেল করতে পারে, এমন প্রস্তুতি আছে। প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি আছে। টিকা প্রদানের প্রস্তুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিচ্ছে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও এটুআইকে বলা হয়েছে, সারা দেশের সাত হাজার ডিজিটাল সেন্টার যেন সব ধরনের সহযোগিতা করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী চাইছেন সবাই যেন টিকা পান।
এনআইডি ছাড়া টিকা নিলে টিকার সার্টিফিকেট পাওয়া বিষয়ে জুনাইদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শুধু বিদেশ যাওয়া বা ধনীদের জন্য সার্টিফিকেট দরকার, বিষয়টা তা নয়। ভবিষ্যেতের জন্য প্রয়োজন। আমরা উন্নত জীবনযাত্রা উপহার দিতে চাই। কেউ টিকা নিয়েছে কি না, তা সার্টিফিকেট থাকলে বোঝা যাবে। ডিজিটালি সম্ভব না হলে হার্ড কপি দিতে হবে। যেভাবে অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়।’