এবার দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সবরকম প্রস্তুতি। নামাজ নির্বিঘ্ন করতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরঘেঁষে প্রায় সাড়ে ৬ একর জমির ওপর শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ। গত দুই বছর ঈদের জামাত না হওয়ায় এবার মুসল্লিদের ঢল নামতে পারে। এজন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে, মাঠের লাইন টানা, ওজুখানা নির্মাণ ও রং করার কাজ।
প্রতি বছর এখানে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মুসল্লির ঢল নামে। বংশপরম্পরায় এ মাঠে নামাজ পড়ে আসছেন অনেকে। এবার শোলাকিয়ায় ১৯৫তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নির্বিঘ্নে এ ঈদ জামাত নিশ্চিতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে ৫ প্লাটুন বিজিবি। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি মাঠের চারপাশে থাকবে ৬টি ওয়াচ টাওয়ার। চারটি শক্তিশালী ড্রোন ক্যামেরা চারপাশ মনিটর করবে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
প্রচলিত আছে ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া মাঠে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে মাঠের নাম হয় 'সোয়া লাখিয়া'। পরে এর নামকরণ করা হয় শোলাকিয়া মাঠ। ১৯৫০ সালে ঈশাখাঁর ১৬তম বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খান শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য প্রায় সাড়ে ছয় একর জমি ওয়াকফ করেন।