প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী না হয়েও রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এনামুল হক করোনা টিকা নিতে আসা এক বৃদ্ধের শরীরে টিকা পুশ করেছেন। এক বৃদ্ধের শরীরে টিকা পুশ করে ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্প্রসারিত টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। আজ শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে তিনি বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রশিক্ষণ ছাড়া একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে টিকা পুশ করার ঘটনায় অনেকেই বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ সময় সাংসদের পাশে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাংসদ নিজের হাতে টিকা পুশের পর সেখানে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান টিকাকেন্দ্রে আসা অন্যদের শরীরে টিকা পুশ করেন। এই কেন্দ্রে মোট ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। সাংসদের থেকে টিকা নেওয়া ওই বৃদ্ধের বাড়ি মাড়িয়া এলাকায়।
টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনের পর সাংসদ এনামুল হক বলেন, টিকা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে টিকা নিতে হবে। সুস্থ থাকতে চাইলে টিকা নেওয়া জরুরি। গ্রামের মানুষের কথা চিন্তা করে আওয়ামী লীগ সরকার দেশবাসীকে মহামারি করোনার কবল থেকে রক্ষায় বিনা মূল্যে টিকার ব্যবস্থা করেছে।
সাংসদের টিকা পুশ করার দৃশ্য মুঠোফোনের মাধ্যমে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাংসদের পক্ষে ওই ছবি সাংবাদিকদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দলীয় নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংসদকে বিতর্কিত করার জন্য অতি উৎসাহীরা এই কাজ করেছেন। প্রশিক্ষিত ব্যক্তি ছাড়া কারও টিকা পুশ করা ঠিক না।
সাংসদের টিকা পুশের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী গণমাধ্যমকে জানান, চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান সাংসদের পাশে থেকে তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এটা দোষের কিছু না। টিকাগ্রহণকারী ওই ব্যক্তির কোনো সমস্যা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
তবে রাজশাহীর সিভিল সার্জন কাইয়ুম তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া কারও টিকা পুশ করা ঠিক না।’ সাংসদ কীভাবে টিকা পুশ করলেন, তা নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।