মার্চ ২৮, ২০২২, ০৯:১৬ এএম
বামজোটের হরতালের কর্মসূচিতে সারাদেশে শতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশী হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে আজ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল পালনের ডাক দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ হরতালে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি।
হরতালে সকালে রাজধানীর কয়েকটি পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে ও রাস্তার পাশের ব্যানার-পোস্টারে অগ্নিসংযোগ করতে দেখা গেছে হরতালের সমর্থনকারীদের। ব্যারিকেড তৈরির মাধ্যমে সকাল থেকে শাহবাগ অবরোধ করতেও দেখা গেছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের।
সকালে অন্য সড়কগুলোয় যানবাহনের তেমন কোনো চাপ না থাকলেও সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ সড়কে (বিএসএমএমইউ-জাতীয় জাদুঘরের মধ্যবর্তী সড়ক) দীর্ঘ যানজট লেগে গেছে। সড়ক অবরোধ করে হরতালের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছাত্রনেতারা। সকাল পৌনে আটটার দিকে একজন একটি বালতিতে করে পানি নিয়ে সড়কে ব্যানার-পোস্টার জড়ো করে লাগানো আগুন নেভাতে এলে তেড়ে আসেন নেতা–কর্মীরা। এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসেন। আগুন নেভাতে আসা ব্যক্তির পক্ষে অবস্থান নেন তাঁরা। আগুন কেন লাগানো হয়েছে, তা জানতে চেয়ে তাঁদের শাসাতে দেখা যায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে।
উপস্থিত ছাত্রনেতাদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন, ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়, ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি ফয়জুল্লাহ, ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য, ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ প্রমুখ। তবে মিরপুর,যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদসহ অন্যান্য এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।