অক্টোবর ১৫, ২০২১, ০১:২৩ এএম
বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে অনলাইনে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
এসময় তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একাধিক প্রকল্প গ্রহণের বাস্তবায়ন না করে টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক’। বারবার সচেতন করার পরও যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেললে জরিমানা করা হবে বলেও সতর্ক করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সিটি কর্পোরেশনকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে’। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে শুধু জলাবদ্ধতা নয় যে কোন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ওয়াসার মাস্টারপ্ল্যান এবং জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসমূহের অবকাঠামোর ডিজাইনের কোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৌশলী বা নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টজন যারা আছে তারা ডিজাইন তৈরি করবেন। কিন্তু সেটি বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা অবশ্যই বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে’।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম শহরের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নকর্মীরা ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা ভালোভাবে মনিটরিং করতে হবে। মনিটরিংকারীদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে’।
সকল পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যদি ময়লা-আবর্জনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করে তাহলে চট্টগ্রাম শহরে কোনো আবর্জনা থাকার কথা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ড্রেন বা খালে ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন ফেলা বন্ধ করতে হবে। মানুষকে সচেতন করার পরও যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।