নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দুই দিনের বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল। আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়), জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলায় ছাত্রদলের নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৮০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। ক্যাম্পাসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের সময় ছাত্রলীগ হকি স্টিক, রড, রামদা, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়।
'দুজন ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে শহীদুল্লাহ হলের ড্রেনে ফেলে নির্যাতন করেছে তারা। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নেতাকর্মী ও চিকিৎসকদের হয়রানি করছে ছাত্রলীগের কর্মীরা।'
সচেতন ছাত্র সমাজকে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জুয়েল বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেই এই হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনগুলোকে এই সরকার বিশৃঙ্খলায় ভরিয়ে রাখতে চায়, যাতে ছাত্রসমাজ কথা বলতে না পারে।
সাইফ মাহমুদ বলেন, ছাত্রদলের নেত্রী মানসুরা আলম, রেহেনা আক্তার শিরীন, শানজিদা ইয়াসমিন তুলি, সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, তন্বী মল্লিক এ হামলা থেকে রেহাই পাননি। তাদেরকেও সড়কে ফেলে পেটানো হয়েছে। দুজন ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে শহীদুল্লাহ হলের ড্রেনে ফেলে নির্যাতন করেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নেতাকর্মী ও চিকিৎসকদের হয়রানি করছে ছাত্রলীগের কর্মীরা।