দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো, উন্নয়ন কার্যক্রম এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ ও সুইডেন। রবিবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে একযোগে কাজ করার কথা জানান সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী পার ওলসন ফ্রিধ।
সেসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভায় অংশ নেন। সভায় প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনা, টেকসই পরিবেশ, স্থলজ ও জলজ প্রাণীসহ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন প্রকার দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বাংলাদেশের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
আলোচনার সময় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী, যুগ্মসচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা শওকত আলীসহ মন্ত্রণালয় ও সুইডেন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী জানান, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা এবং পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার মন্ত্রণালয় সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ করেছে; যা পরিবেশ সংরক্ষণে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
শাহাব উদ্দিন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ‘ক্লাইমেট ভালনারেবলিটি ফোরাম’-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়াও ‘গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপটেশন’-এর আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপনের ফলে দক্ষিণ এশিয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে।
সভায় দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।