করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ট্রেনের টিকিট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাউনে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৪ মে) ট্রেন চলাচল শুরু হলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বিধিনিষেধের সময় বৃদ্ধি করা হলেও ২৮ জোড়া আন্তনগর ট্রেন দিয়ে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। এক আসন ফাঁকা রেখে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৫০ শতাংশ। ‘
কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ সব টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সব স্টেশনে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এখন যাত্রী কম। যাত্রী বাড়লে পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, সোমবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার গণমাধ্যমে বলেন, ‘সোমবার (২৪ মে) ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। এর আগে লোকাল ট্রেন বলাকা এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে লোকাল ট্রেন ‘বলাকা কমিউটার’ ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে ‘মহানগর প্রভাতি’ ছেড়ে গেছে।’
অনলাইটে ট্রেনের টিকিট কাটার বিষয়টি অনেকে জানতেন না। একারণে কমলাপুর স্টেশনের বাইরে অনেককে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে পাওয়া যে ট্রেনগুলো চলছে সেগুলো হলো:সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি/তূর্ণা, মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা, তিস্তা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস, ঢালারচর এক্সপ্রেস ও টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস।
এছাড়াও ৯ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলবে। এগুলো হলো-কর্ণফুলী কমিউটার, সাগরিকা কমিউটার, বলাকা কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, ঢাকা কমিউটার, রকেট মেইল, মহানন্দা এক্সপ্রেস, পদ্মরাগ কমিউটার ও উত্তরা এক্সপ্রেস।