বাংলাদেশে গুমের শিকার বা নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে দেয়া এবং ঘটনাগুলো তদন্তের দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর একটি সংগঠন মায়ের ডাক। গুম বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার পরিবারগুলো এ দাবি জানায়। এছাড়া ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে পরিবারগুলো। তাঁদের ভাষ্য, গুমের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার শাহবাগে মানববন্ধন করে সংগঠনটি।
সেখানে একের পর এক তাদের বক্তব্যে স্বজনকে ফিরে পাওয়ার আকুতি এবং তাদের কষ্টের বিবরণ অন্য রকম এক পরিবেশ তৈরি করেছিল।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৭ সাল থেকে ২০২১ সালের ২৫ শে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ৬০০ এর বেশি ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। গত এক বছরে গুম হয়েছে ৩২জনের মতো।
ব্যরিস্টার আরমানের মা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দেশের গুমের ঘটনাগুলো নিয়ে বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিকরা জানতে চায়। কিন্তু সরকার কোন সদুত্তর দিতে পারে না। সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট বক্তব্যও নেই। আমরা চাই, নিরপেক্ষ একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সহায়তায় এদেশে গুম, খুনের বিচার হোক।
পুরোনো ঢাকার সৈয়দা শাম্মী সুলতানা অভিযোগ করেছেন, বিএনপির রাজনীতি করায় তার স্বামী গুম হয়েছেন ২০১৩ সালে।
আট বছর ধরে তিনি পুলিশ র্যাবের কাছে ঘুরে কোন সহযোগিতা পাননি।
আরমানের মা ও শাম্মী সুলতানার মতো স্বজন হারানো অনেক পরিবার তাদের নিদারুণ কষ্টের কথা জানিয়েছেন। প্রিয়জনকে হারানোর ব্যথা এখনও তাঁদের পোড়াচ্ছে।
এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে বলেছে, গুমের ঘটনা অব্যাহত থাকলেও বাংলাদেশ সরকার বার বার অস্বীকার করছে।
সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘকে বাংলাদেশের বআইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করার দাবি জানিয়েছে।