রাজধানীতে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার রায়ে বরখাস্তকৃত মেজর জিয়াসহ ৮ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার রাজধানী ঢাকা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। তাদের সবাইকে র্সবোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
দীপন হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- বরখাস্তকৃত মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছে।
৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের র্পযবেক্ষণে বিচারক বলেন, জঙ্গি দল আনসার আল ইসলাম সাংগঠনিকভাবে ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যা করে।
বিচারক পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, তাদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি হলে নিহতদের আত্মা যেমন শান্তি পাবে তেমনি ভবিষ্যতে এ রকম কাজ করার সাহস কেউ আর পাবে না।'
এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে আসামিদের কেউ কেউ দূর থেকেও নানাভাবে জড়িত ছিল। এ ছাড়া আসামিরা হত্যায় জড়িত ছিল তা প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।নিহত দীপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীপন হত্যাকাণ্ডের দিনেই তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন। নিহত দীপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে।