এপ্রিল ১৪, ২০২৩, ০৯:২৪ পিএম
পোল্যান্ডের অনুরোধে ইউক্রেনকে সোভিয়েত নকশায় তৈরি পাঁচটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে জার্মান সরকার।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় ( ফেডারেল) সরকারের সবাই যৌথভাবে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। আমি বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।’
এর আগে, রুশ বাহিনীর আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনকে মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান দিতে অনুরোধ করেছিল দেশটির নিকটতম প্রতিবেশী পোল্যান্ড।
পোল্যান্ডের বহরে যেসব যুদ্ধবিমান আছে, সেগুলো তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে জার্মান সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এ কারণে ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর অনুমতি দিতে জার্মানিকে অনুরোধ করে দেশটি।
পিস্টোরিয়াস বলেন, বৃহস্পতিবার পোল্যান্ড থেকে এ অনুরোধ আসে। আর একই দিনে এ অনুমোদন প্রমাণ করে যে, ‘আপনি জার্মানির ওপর নির্ভর করতে পারেন’।
১৯৯০ সালে দুই জার্মানি এক হলে ‘উত্তরাধিকার’ সূত্রে তৎকালীন পূর্ব জার্মানির কাছ থেকে ২৪টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পায় জার্মানি। সে সময় মিগ-২৯ বিশ্বের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান হিসেবে পরিচিত ছিল।
২০০৪ সালে জার্মান সরকার ২২টি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডকে দেয়। আর বাকি দুটির মধ্যে একটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। আর বাকিটি এখন জার্মানির জাদুঘরে রাখা আছে।
এদিকে পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া নথির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, চলতি বছর রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনো দেশই যুদ্ধক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগতি লাভ করতে পারবে না। যুদ্ধ গড়াবে ২০২৪ সালে। এ অচলাবস্থা কাটাতে ইউক্রেন দেশটির রিজার্ভ এবং নিয়মিত সেনাবাহিনীর শেষ সদস্যটিকেও মাঠে নামাবে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১২ এপ্রিল) ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো এবং কিয়েভ উভয়ই সেনা এবং রসদে ঘাটতি থাকায় চলতি বছর যুদ্ধে খুব বেশি কার্যকর অগ্রগতি লাভ করবে না; বরং যুদ্ধ গড়াবে ২০২৪ সালে। এ বছর উভয় পক্ষই সামান্য আঞ্চলিক অগ্রগতি লাভ করবে।
ফাঁস হওয়া নথিতে আরও বলা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে চলতি বছর যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে যুদ্ধ বন্ধ হোক বা চলুক, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে ইউক্রেনেরই।