চলতি বছর বজ্রপাতে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান সচিবালয়ে দুর্যোগ প্রশমন দিবসের কর্মসূচি জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান জানান, বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের মতো করে বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার। সেসব আশ্রয়কেন্দ্রে বজ্রপাত প্রতিরোধক যন্ত্র লাইটনিং অ্যারেস্টার বসানো হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, বজ্রপাতের সতর্কবার্তা শোনার পর কৃষকেরা এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন। বজ্রপাতের আগাম সতর্কবার্তা দিতে পারে এসব যন্ত্র। এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘মেশিনটি প্রায় ৪০ মিনিট আগেই বজ্রপাত শনাক্ত করতে পারে। এছাড়াও কোথায় বজ্রপাত হবে তাও বলতে পারে’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই সতর্কবার্তা দেওয়ার যন্ত্রগুলো বসাব। প্রাথমিকভাবে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা বিশেষ করে হাওর এলাকায় এসব যন্ত্র বসাব। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘অ্যাপের মাধ্যমে যাতে মানুষের মোবাইলে সতর্কবার্তা যেতে পারে সে জন্য অ্যাপ তৈরি করব’।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বজ্রপাতের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। এক ডেসিমেল জায়গায় একটি পাকা ঘর থাকবে। প্রতিটি ঘরে একটি করে লাইটিনিং অ্যারেস্টার দেওয়া হবে, যাতে সতর্কবাতা শোনার ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে মানুষ সেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারে। বজ্রপাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন’।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীরা সেখানে সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার পাবেন। ঝড়-বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টির মধ্যে আশ্রয় নিতে পারবেন। কেউ চাইলে বিশ্রামও নিতে পারবেন’।
প্রায় ৪৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলেও জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।