ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।রবিবার(৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ওই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ভাড়ার এ বৃদ্ধি শুধু ডিজেলচালিত বাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। গ্যাস, অকটেন ও পেট্রলচালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
সহকারী সচিব মো: জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতি কিলোমিটারে দূরপাল্লার বাসে ১.৪২ এর বদল নতুন ভাড়া ১.৮০ টাকা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ক্ষেত্রে ১.৭০ টাকার জায়গায় ২.১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।সর্বনিন্ম ভাড়া বাসে ১০ টাকা এবং মিনিবাসে ৮ টাকা হবে।
দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ, মহানগরের বাসের ভাড়া ২৬.৫ শতাংশ বড়েছে। সব মিলিয়ে গড় ভাড়া ২৬.৭৫ শতাংশ বেড়েছে বলেও ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
এর আগে, রবিার দীর্ঘ সাত ঘণ্টার টানা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া সোমবার (৮ নভেম্বর) থেকে বাড়ছে। দূরপাল্লায় প্রতি কিলোমিটারে তা হবে ১ টাকা ৮০ পয়সা। আর ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতি কিলোমিটারে বেড়ে হচ্ছে দুই টাকা ১৫ পয়সা। আগামীকাল সোমবার থেকে নতুন ভাড়ার হার কার্যকর হবে। ঢাকায় মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ৮ টাকা। আর বড় বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ১০ টাকা।
নতুন ভাড়ার বিষয়ে পরিবহন বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, ‘সরকার ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বাস মালিকরা লোকসানের কথা চিন্তা করে রাস্তায় বাস নামাননি। বৈঠকের পর যে ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে তাতে তেলসহ বাসের উপকরণ খরচেও ঘাটতি আছে। শুধু জনগণের কথা বিবেচনা করে সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া বাড়ানো হলেও সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাসের আগের ভাড়াই কার্যকর রয়েছে।
এদিকে,যাত্রীবাহী পরিবহনের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও পণ্যবাহী ট্রাকের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দাবি, জ্বালানি তেলের দাম না কমলে ট্রাক চালানো হবে না।
পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান গণমাধ্যমে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম না কমা পর্যন্ত তারা এ ধর্মঘট অব্যাহত রাখবেন। বিআরটিএ সদর দফতরে ভাড়া পুনর্নির্ধারণের বৈঠকে তারা অংশ নেননি। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলেও তিনি জানান।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান ট্রাক প্রাইম মুভার পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মকবুল আহমেদ বলেন, তেলের দাম কমলেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করব। এছাড়া ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে না।