চুয়াডাঙ্গায় মঙ্গলবার দেশের ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, হাতিয়া, শ্রীমঙ্গল, সাতক্ষীরা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
বড় এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে ‘মৃদু’; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে ‘মাঝারি’ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে ‘তীব্র’ শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়।
নাজমুল হক বলেন, ’তীব্র শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেছে এখন। বেশ কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।’
বুধবারও কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে, তবে শীতের দাপট এ সপ্তাহ জুড়ে থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। নদ-নদী অববাহিকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পযন্ত ঘন কুয়াশা বিরাজ করবে। চলতি মৌসুমে গত ১৮-২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬-৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
তৃতীয় দফা শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পর রোববার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে থার্মোমিটারের পারদ নেমে যায় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সোমবার শ্রীমঙ্গলে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা দেশের সব রেকর্ড ভেঙে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল।