আগস্ট ১১, ২০২২, ০৬:৫৯ পিএম
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানীর বাসগুলো স্টপেজ ছাড়াই ইচ্ছে মতো যাত্রী ওঠা-নামানো করা হচ্ছে। এছাড়া বাসের গেট খোলা রাখায় চলন্ত অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন যাত্রীরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর শনিরআখড়া, গুলিস্তান, পল্টন, রামপুরা, মালিবাগ, বাড্ডা ও মৎস্য ভবনে এলাকায় চলাচল শ্রাবণ, মনজিল, রজনীগন্ধা, অনাবিল, তুরাগ, আসমানী পরিবহন, আকাশ ও স্মার্ট উইনারসহ অধিকাংশ বাস যাত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করছে।
দেখা গেছে, সাইনবোর্ডে দাঁড়ানো রজনীগন্ধা বাস গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে ছুটলো। বাসটি এক মিনিট সামনের দিকে এগোতেই যাত্রী ওঠানোর জন্য থেমে গেল। আবার কিছুদূর যেতে না যেতেই দাঁড়িয়ে পড়লো বাস। দশ মিনিটের ব্যবধানে তিনটি কমপক্ষে ৩টি জায়গায় দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানো হলো। শুধু এই রুট নয়, একই চিত্র ছিল মালিবাগ ও উত্তরা রুটে।
বাস স্টপেজ ছাড়া প্রায় বাস যাত্রী উঠাচ্ছিল। অথচ গতকাল সিদ্ধান্ত হয়েছে স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো যাবে না। কিন্তু এটি বাস্তবায়ন করার কেউ নেই।
রাস্তার যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামা করায় যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে বলছেন- ভাড়া বেশি নিচ্ছো এরপরও দেরি করছো কেন? বাস ছাড়। এদিকে রজনীগন্ধা বাসের সহযোগী মারুফ সরকার বলছেন- চিল্লাচিল্লি করে লাভ কি? সব বাস যেভাবে চলছে আমরাও তাই করছি। ভাল না লাগলে, অন্য বাসে যান।
বৃহস্পতিবার থেকে এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজ পর্যন্ত গাড়ির দরজা বন্ধসহ বিআরটিএ'র তিনটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার কথা ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির। এ নিয়ে গতকাল বুধবার (১০ আগস্ট) সমিতি এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়িয়ে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সিদ্ধান্তগুলো মানচে না বাসচালক ও সহযোগীরা।
তিনটি সিদ্ধান্ত হচ্ছে-
১. ঢাকা ও শহরতলী রুটে গাড়িতে ওয়েবিল ও চেকার থাকবে না। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজ পর্যন্ত গাড়ির দরজা বন্ধ থাকবে। রুট পারমিটের স্টপেজ অনুযায়ী গাড়ি থামাতে হবে।
২.বিআরটিএ’র চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় করতে হবে। প্রত্যেক গাড়িতে ভাড়ার চার্ট টাঙিয়ে রাখতে হবে।
৩. সভায় বিআরটিএ’র পুনঃনির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করতে মালিকদের সমন্বয়ে ৯টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়। এসব টিম বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে থেকে সব অনিয়ম তদারকিসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।