জুন ৭, ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। তা দেখে অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। বিএনপির হাঁসফাস শুরু হয়েছে। তারা একবার আমেরিকা যায়, আরেকবার বিভিন্ন দূতাবাসে যায়। বিএনপি যতই হাঁসফাস করুক না কেন, কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চিত করবে আগামী দিনে কে ক্ষমতায় যাবে।
বুধবার (৭ জুন) সিলেটের বিয়ানীবাজারে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত শেওলা স্থলবন্দর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারে ‘শেওলা স্থলবন্দর’ নির্মিত হয়েছে।
সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না মন্তব্য করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হবে কিনা; ২০৩০ সালে উন্নয়নের ভিত্তির উপর দাঁড়াবে কিনা, আগামী প্রজন্মের মাঝে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব তৈরি হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে হবে। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। তারা এ দেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। বাংলার মানুষ এটি মানবে না।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রকল্প পরিচালক সারোয়ার আলম, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, বিজিবির সিইও এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
শেওলা স্থলবন্দরটি নির্মাণে প্রথম পর্যায়ে ব্যয় হয়েছে ১৩৮ কোটি টাকা। ২২ একর জমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, দুটি ওয়্যারহাউজ, মাল্টি এজেন্সি সার্ভিস ভবন, ডরমিটরি ভবন, বন্দরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বিশ্রামাগার, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, দুটি ডিজিটাল ওয়েব্রিজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে।
শেওলা স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্য আসাম রাজ্যের সাথে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে। এর বিপরীতে রয়েছে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জের সুতারকান্দি এলাকা। এ বন্দর দিয়ে সকল ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত গবাদিপশু, মাছের পোনা, ফল, গাছ-গাছড়া, বীজ, গম, রাসায়নিক সার, চায়লা ক্লে, কাঠ টিম্বার, চুনাপাথর, কোয়ার্টজ, ফুল আমদানি হয়ে থাকে এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য, হস্তশিল্প তথা তাঁতপণ্য, বেতের তৈরি দ্রব্য, ফলমূল, শুঁটকিমাছ, সাতকড়াসহ অন্যান্য পণ্য।