আগস্ট ৩০, ২০২২, ১০:১৫ পিএম
বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আমলে বিদ্যুৎখাতে উন্নয়ন ঘটেনি এমন মন্তব্য করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের ‘গোল্ডফিশ মেমোরি’। বিদ্যুৎখাত নিয়ে তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করছেন। অথচ তাদের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কোনো পরিকল্পনা ও উদ্যোগ ছিল না।
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে এসব কথা বলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
বিএনপির আমলে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের তথ্য উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ থেকে ২০০৭ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কোনো পরিকল্পনা ও উদ্যোগ ছিল না। বিদ্যুৎখাত উন্নয়নে সরকার ব্যর্থ, বিদ্যুৎ দাবির মিছিলে পুলিশ গুলি, বেশি দাম দিয়েও বিদ্যুৎ পায় না গ্রামের মানুষ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২০ দিনের মাথায় ৭ জন নিহত। বাড়িতে ঢুকে পুলিশের লাঠিপেটা, মহাসড়ক অবরোধ, ধাওয়া খেয়ে সাংসদের পলায়ন, রাজধানী ডেমরায় পানির সংকটে মিছিল। বিদ্যুৎ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘাত, আহত শতাধিক। মামুনের খাম্বা সিন্ডিকেট, লুটে নিয়েছে হাজার কোটি টাকা। আমার কাছে মনে হয় সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের গোল্ডফিশ মেমোরি।
বিদ্যুতের সংকট নিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে তখন ১ কোটি গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ ছিল। বর্তমানে সাড়ে ৪ কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছে।
জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যদের ফেসবুক থেকে তথ্য নিতে নিষেধ করে নসরুল হামিদ বলেন, ফেসবুকে গুজবে কান দেবেন না। দেশ আছে বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতে। এই দেশ হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশ। আমরা সেই পথেই আছি।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আমরা সমন্বয় করেছি। কোনো মতেই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করিনি।
সারা পৃথিবীর মানুষ এখন কষ্টে আছে এমন মন্তব্য করে নসরুল হামিদ বলেন, উন্নত বিশ্বের সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ জার্মানিতে ৪০ শতাংশ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। লন্ডনের মতো দেশ লোডশেডিংয়ে যাবে।
বিদ্যুৎখাতে বিশ্বের স্ট্যান্ডার্ড সিস্টেম লস ৭ দশমিক ৭ শতাংশ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পাটির আমলে ৪৪ শতাংশ বিদ্যুতের সিস্টেম লস ছিল, বিএনপির আমলে এসে দাঁড়ায় ২২ শতাংশ। সেখানে বর্তমানে সিস্টেম লস ৭ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।