ঈদের ছুটি শেষে অফিস-আদালত খুললেও কাগজে কলমে চলছিলনা কোন দূরপাল্লার যানবাহন। এদিকে বাড়ানো হয়েছে লকডাউন। যার ফলে বিকল্প পথ ও ভেঙে ভেঙে শত প্রতিকূলতার মেনেই রাজধানী ফিরতে দেখা যায় যাত্রীদের।
ঢাকায় প্রবেশমুখে যানজট
সোমবার(১৭মে) ঢাকার প্রবেশদ্বার আমিনবাজারে গিয়ে দেখা গেলো ঢাকামুখী রাস্তায় দীর্ঘ যানযট। কারন ওই জায়গায় সকল বাস থামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আর বাস চলার অনুমতি নেই। তাই সকলকে আমিন বাজার থেকে হেটে গাবতলি পর্যন্ত আসতে হয়। এ বাস গুলো কোন দূরপাল্লার বাস নয়। এগুলো সাভার চন্দ্রা থেকে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের সাইনবোর্ড পর্যন্ত চলাচল করে। কিন্তু লকডাউন থাকায় ঢাকার বাস গাবতলি আর সাভারের বাস আমিনবাজারের পর আর যাওয়ার অনুমতি নেই।
বিকল্প যানবাহনে যাত্রীরা
সাভারমুখী খুব কম বাস চন্দ্রার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ বাসই ২০০-৩০০ টাকায় যাত্রীদের সাথে চুক্তি করে মানিকগঞ্জ পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। পুলিশি চেকপোস্ট উপেক্ষা করে হেমায়েতপুরের ভিতর দিয়ে এ বাস গুলো যাতায়াত করে। এ বিষয়ে বাস ড্রাইভার রহিম শেখ বলেন, অনেক কষ্টে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। যাত্রীদের থেকে যেভাড়া নেয়া হয় তার অর্ধেকও থাকেনা। পুলিশকেই দিতে হয় ২০০০ টাকা। কেনো এ ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, যাত্রীদের অনুরোধেই আমরা ওই দিকে যাই।
আপনেরা ড্রাইভারদের যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন কিনা জিগাসা করলে বাসের যাত্রী ব্যঙ্ক কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা অনুরোধ করবো কেনো। আমরা বাস স্টান্ড এ এসে দেখি গাবতলি গাবতলি বলে ডাকতেছে। তবে বাস থাকাতে ভালো হয়েছে হায়েস গাড়ি গুলো ভাড়া নেয় ৫০০-৬০০ টাকা। সেখানে ২০০-৩০০ টাকায় চলে আসতে পারতেছি।
অন্যদিকে ভোগান্তি নিয়ে গার্মেন্টস কর্মী সেলিনা খাতুন বলেন, বহুৎ কষ্ট করে আসা লাগতাছে। ৩-৪ বার শুধু গাড়ি চেন্জ করছি। এখোনো হাটতেছি কইত থেকে গাড়ি পাবো তাও জানিনা। আর ভাড়াতো যে যা চাচ্ছে তাকে তাই দেওয়া লাগছে।