দিনটি শুরু হয়েছিল লিটন দাস আর সাকিবের হাত ধরে। মাত্র তিন ওভারের ভেতরেই আউট হয়ে যান লিটন। সাকিব ভালোই খেলছিলেন, কিন্তু তার সেঞ্চুরি আর হলো না। ১১৩ তম ওভারে কিছুটা লুজ একটি শট খেলার কারণে তার মূল্য দিতে হয়েছে উইকেট খুইয়ে। তার সংগ্রহ ছিলো ৬৮ রান। দলীয় সংগ্রহ তখন ৩১৫। এমন অবস্থায় দলকে টেনে নেওয়ার মত কাউকে দরকার ছিলো। সাড়ে তিনশ রান কি হবে? এমন যখন শংকা, তখন যেন নায়কের মতই খেলাটা নিজ হাতে তুলে নিলেন মিরাজ।
লিটন দাস আউট হয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সাকিবের সাথে তার জুটি ভালোই জমে উঠেছিল, তবে সাকিব সাজঘরে ফেরার পর তাইজুলকে এক পাশে রেখে দলকে টেনে নিয়েছেন মিরাজই। প্রমাণ দিয়েছেন নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের। তাইজুলের সঙ্গে ৪৪ ও নাঈম হাসানের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি দলীয় রান নিয়ে যায় চারশর ওপারে।
নিজের এই দারুন ইনিংসের উপহার স্বরূপ তুলে নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। ১৬৮ বল খেলে জোগাড় করেছেন ১০৩ রান, ব্যাট করেছেন শেষ পর্যন্ত। এর আগে মিরাজ ২২ ম্যাচে খেলেছিলেন ৪২ ইনিংস। সেখানে হাফসেঞ্চুরি ছিল দুটি। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংসটিই ছিল তার সর্বোচ্চ।
তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমেছে ক্যারিবিয়ানরা, তবে নেমেই ধাক্কা খেতে হয়েছে তাদের। মাত্র চার ওভারের মাথায় ক্যাম্পবেলকে এল বি ডাব্লিউ এর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর। মোস্তাফিজুর রহমানের আগুন বোলিংয়ের ফাঁদে পা দিয়েছেন মোসেলেও। ১০ ওভারের মথায় তাকেও বিদায় করে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ক্যারিবীয়রা তাদের ইনিংসের শুরুতেই চাপে পড়েছে। যদিও কিছুটা সামলে দিয়েছেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। তার দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত দিনটা খানিকটা স্বস্তিতে শেষ করতে পেরেছে ক্যারিবিয়ানরা।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৩০ রানের পর দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ৭৫। ব্র্যাথওয়েট ৪৯ রানে এবং বনার অপরাজিত আছেন ১৭ রানে।
স্কোর
বাংলাদেশঃ ৪৩০/১০
ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ৭৫/২