বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাঙ্গে যারা জড়িত এবং মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের ইতিহাস থেকে আমরা আমাদের প্রাণশক্তি খুঁজে পাবো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রবিবার বিকেল ৪টার পর সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেটের সামনে (মানিক মিয়া এভিনিউ) অবস্থান নেন সোহেল তাজ। এ সময় তাঁর সঙ্গে যোগ দিতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, সোহেল তাজের ছোট বোন মাহজাবিন আহমদ মিমিসহ দুই শতাধিক সমর্থক। তারা তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
পদযাত্রা শেষে গণভবনের সামনে সোহেল তাজ বলেন, আমরা আমাদের দেশকে ভবিষ্যতে যদি একটা সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই এবং সেখানে যদি কোনো ফাঁক থাকে, তবে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সেই ফাঁকগুলো পূরণ করার সুযোগ পাবে। তাই ১০ এপ্রিল প্রথম বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। “
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমাদের এই ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। এই ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধে যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছেন, অমরশহীদসহ তাঁদের ইতিহাস থেকে আমরা আমাদের প্রাণশক্তি খুঁজে পাবো।”
এর আগে, গত ৭ এপ্রিল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তিন দফা দাবিসহ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সোহেল তাজ। দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে-
১. যেহেতু ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে এই দিনে। তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে এবং সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ওই ফেসবুক পোস্টে সোহেল তাজ বলেন, এটা একান্তই আমার নিজের উদ্যোগ। আপনারা কেউ যোগ দিতে চাইলে আসতে পারেন। আর না এলে আমি একাই যাব- জয় বাংলা।