জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
ব্রেন ডেথ অবস্থায় থাকা সারাহ ইসলামের সম্মতিক্রমে তাঁর কিডনি ও কর্নিয়া চারজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। দুজন নারীকে দুটি কিডনি আর কর্নিয়া দুটি দুজন পুরুষকে দেয়া হয়। প্রতিস্থাপনের পর চারজনই এখন ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ও রোগীদের পরিবার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসারত থাকা মিরপুরের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে মৃত ঘোষিত সারাহ ইসলামের একটি কিডনি দেওয়া হয়। এখন তাঁর স্ত্রী সুস্থ আছেন বলে জানান ওই ব্যবসায়ী।
সারাহর অন্য কিডনিটি রাজধানীর মিরপুরের বেসরকারি কিডনি ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন এক নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। কিডনি গ্রহীতা ওই নারী ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের প্রধান ও দেশের বিশিষ্ট কিডনি রোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হারুন–অর–রশীদ।
কর্নিয়া নেয়া দুই রোগীর ব্যাপারে বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন, কর্নিয়া দেওয়া দুই ব্যক্তিও সুস্থ আছেন।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা বলেছেন, কিডনি, কর্নিয়া বা যেকোনো অঙ্গ কাকে দেওয়া হবে, তা দাতার পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়দের জানানোর রীতি নেই। এতে ‘ইমোশনাল ব্লাকমেইল’–এর সুযোগ থাকে, নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। অঙ্গদান হতে হয় নিঃস্বার্থ। এর সাথে কোনো আর্থিক লেনদেন বা লাভ–লোকসানের সম্পর্ক থাকে না।