শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।ঈদ উদযাপনে গ্রামের বাড়িতে যারা গেছেন তাদের লকডাউন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে অনুরোধ জানান তিনি।
বুধবার (২১ জুলাই) ঈদে উল আজহার দিন শেষে রাতের বেলায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন।
আগামী ৫ আগষ্ট পর্যন্ত চলা এবারের এই লকডাউন আগের সব লকডাউন থেকে বেশি কঠোর হবে উল্লেখ করে গণমাধ্যমে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘কঠোর লকডাউন বলতে এবার অফিস আদালত, গার্মেন্টস, রপ্তানি সব বন্ধ থাকবে। আগের মতো মানুষের প্রয়োজন হবে না বাইরে যাওয়ার। এবারের লকডাউন গতবারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কঠিন হবে। মাঠে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনা সদস্য থাকবে।’
পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে যারা গ্রামের বোড়িতে গেছেন তাদের লকডাউন শেষ হলে কর্মস্থলে ফেরার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা গিয়েছেন, তারা জানেন যে, সব বন্ধ থাকছে। তাদের কর্মক্ষেত্রও বন্ধ থাকছে। তারা সময় নিয়েই গেছেন। আমি বলব, তারা যেন পাঁচ তারিখের (৫ আগস্ট) পরই আসেন। এখন তাদের আসার প্রয়োজন নেই।’
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এবারের লকডাউন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই ১৪টা দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে আমাদের আহ্বান থাকবে, মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসা যাবে না। ঘরের বাইরে এলে অবশ্যই ডাবল মাস্ক পরবেন। যদি এটা করতে পারি ১৪ দিনের জন্য, তাহলে আমরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারব। না হলে তা বাড়তে থাকবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ কমাতে আমাদের অসুবিধা হবে।’
গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনষেধ আরোপ করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ১৪ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়।