সহিংসতা ছাড়াই শেষ হলো বহুল প্রত্যাশিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।
এ সময় অবশ্য কয়েকটি বিঘ্ন ঘটেছে। সকাল ৯টার দিকে বৃষ্টি নামে। ফলে ভোটাররা কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েন। আর দিনমান বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএমের কারণে ধীর গতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী প্রার্থীরাও ধীর গতি নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ৬ জনের জেল-জরিমানা হয়েছে।
অন্যদিকে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগের রাতে ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনার’ অভিযোগে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, কাটাবিল এলাকার লাটিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আরমানুর রহমান আরমানের লোকজন টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছিল। এ সময় করাত প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের লোকজন বাধা দিলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এবার নির্বাচনে পাঁচজন মেয়রপ্রার্থী রয়েছেন। তবে মূল লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সারে মধ্যে। সাক্কু গত দুই মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাকি দুজন প্রথমবারের মতো লড়াই করছেন। ফলে কুমিল্লাবাসীর মুখে এখন প্রশ্ন—সাক্কুর হ্যাটট্রিক নাকি নতুন মুখের অভিষেক।
নির্বাচনে আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক। তিনি বলেছেন, ভোটের পরিবেশ ভালো। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ইভিএমে ধীরগতিতে ভোট গ্রহণ চলছে।
কিছু জায়গায় ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন নির্বাচনী প্রচারের সময় ব্যাপকভাবে আলোচিত সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন। ভোট দিতে এসে তিনি বলেন, ভোটার আইডি নিয়ে গেছেন কিন্তু স্লিপ নিয়ে যাননি। তাই ভোট দিতে দেয়নি।
কুসিক নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর দুজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
মোট ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। পাঁচ মেয়র প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।