ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চার বছর আগে ইউনিক আইডি তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার। গত মার্চ মাসে এক কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে আইডি তুলে দেওয়ার লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়, ব্যয় ধরা হয় ৩৫৩ কোটি টাকা। এই হিসেবে দেড় মাস বাকি থাকলেও ইউনিক আইডি তৈরির কাজ করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
কবে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে কিংবা শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি হাতে পাবে কি না তাও অনিশ্চিত। তবে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। সব শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণের জন্য ইউনিক আইডি তৈরির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
এ প্রকল্পের নাম ‘এস্টাবলিশমেন্ট অফ ইনটিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বা আইইআইএমএস। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর হলে এই আইডিই জাতীয় পরিচয়পত্রে রূপান্তরিত হবে। সেই লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা দুটি প্রকল্প হাতে নেয়। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দায়িত্বে শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। অপরটির প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির দায়িত্বে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
ব্যানবেইসের এক কর্মকর্তা বলেন, ৫৮ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করার সক্ষমতা রয়েছে। তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই এবং ইউনিক আইডি তৈরির দায়িত্ব জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের। তবে তাদের অদক্ষতা ও উদাসীনতায় সময়মতো ইউনিক আইডি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান আরেক কর্মকর্ত।
তবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় বলছে, ব্যানবেইস সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেওয়া অধিকাংশ তথ্য অসম্পূর্ণ ও ভুল। এ জন্য জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মিল না থাকায় আইডি তৈরি সম্ভব হচ্ছে না। কারিগরি জটিলতাও অন্যতম কারণ।
কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল পলাশ কান্তি বালা বলছেন, ৪১ লাখ শিক্ষার্থীর তথ্য এসেছে, ২১ লাখ ইউনিক আইডি তৈরি হয়েছে। ১৮ লাখ শিক্ষার্থীর তথ্যে ত্রুটি আছে। আর বাকি আড়াই লাখের কাজ চলছে। ব্যানবেইসের অভিযোগও উড়িয়ে দেন তিনি।