আগস্ট ২১, ২০২১, ০২:৩৮ পিএম
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে ২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
শুক্রবার(২০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে আরিফুর রহমান রঞ্জু (৪২) নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এ আসামি।
শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হাফিজ আক্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হাফিজ আক্তার বলেন, ‘আরিফুর রহমান রঞ্জু সেসময় কলারোয়া থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার নেতৃত্বেই তখনকার বিরোধীদলের নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়।’রঞ্জু ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে হত্যা চেষ্টা মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে সড়কপথে ঢাকায় ফেরার পথে ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এ সময় গাড়িবহরে থাকা ১৫–২০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ওইসময় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করা হয়।
গাড়িবহরের হামলার ঘটনার ১৯ বছর পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার একটি আদালত ৫০ জনকে নানা মেয়াদে সাজা প্রদান করে।
সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় । ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বাকি দুজন হলেন মো. আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু ও রিপন। তবে রিপন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক অপর আসামি যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার অন্য ৪৬ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।৫০ আসামির মধ্যে ১৫ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।