দেশকে অস্থির করতে যে সাম্প্রদায়িক শক্তি সচেষ্ট রয়েছে তারাই বিজ্ঞান শিক্ষার কাজে বাধা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডলের মুক্তির দাবিতে শনিবার রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ড. জাফর ইকবাল বলেন, “ঘটনা ২২ শে মার্চ হয়েছিল। কিন্তু তখন মুজিব শতবর্ষ উদযাপন চলছিল তাই তারা উস্কানি দিতে পারেনি। এখন রোজার মাসে তারা এগুলো প্রচার করে উস্কানি প্রদান করছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। আমরা সব সময় শুনে আসছি বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তার জন্য প্রথম ধাপ হলো স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষা। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল কারাগারে। এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। যেই বইগুলো আমরা লিখেছিলাম, সম্পাদনা করেছিলাম সেই কথাগুলো উচ্চারণের জন্য হাজতে যেতে হলো। এই কথাগুলো পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানমনস্ক মানুষেরা বলে থাকেন।”
পরিকল্পতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য রাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা দাবি করেন ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, “বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য ধর্মীয় মামলা দেওয়া হলো, গ্রেফতার করা হলো, জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এটা কোন ধরনের রাষ্ট্র? সকলকে নামতে হবে, এটার প্রতিবাদ করতে হবে।”
সমাবেশে হৃদয় মন্ডলের স্ত্রী কবিতা হালদার বলেন, “আমার স্বামী কখনও ধর্মকে কটুক্তি করেননি। বরং সকলের সাথে মিলেমিশেই থাকতেন। তারসাথে এমন কাজ হবে কখনও ভাবেননি।”
‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি’ দাবি করে কবিতা হালদার আরও বলেন, “আমার ছেলেকে আসামির ছেলে বলে ডাকা হচ্ছে, আমাদের বাসা থেকে বের হলে বলে তোমার ভয় লাগে না? আমি আমার স্বামীর নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আমরা যেন স্বাভাবিকভাবে পূর্বের মতো চলাফেরা করতে পারি।”