সীতাকুণ্ডে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করার জন্য আসে। কিন্তু ডিপো কর্তৃপক্ষের তথ্য যোগান ও সহযোগিতার অভাবের কারনে আমাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি সীতাকুণ্ডবাসীরাও এর ভুক্তভোগী। ২টি মরদেহের দেহাবশেষ সহ মোট ৪৪ টি মরদেহ পাওয়া গেছে মঙ্গলবার পর্যন্ত। এখনো অগ্নিকাণ্ড থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বা ঝুঁকিমুক্ত কোনটি বলা যাচ্ছে না। যে কোন কন্টেইনার থেকে আগুন লাগতে পারে। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
পাওয়া গেছে আরও দুইজনের লাশ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো থেকে আরও দুই জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আলামত দেখে একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বলে মনে হয়েছে। তবে ডিএনএ টেস্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। অপর দেহাবশেষ ডিপোর কর্মীর বলে মনে হচ্ছে। এর মাধ্যমে ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়াল।
আনিসুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের নয় জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা এসে ডিএনএ দিয়ে গেছেন। ফায়ার সার্ভিসের ১২ জন সিএমএইচে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় জনবল সীমিত করা হয়েছে। এখন দুটি ইউনিট কাজ করছে। মালিকপক্ষকে ক্যামিকেলগুলো রিমুভ করার কথা বলা হয়েছে। তবে কি পরিমাণ কনটেইনার আছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। মালিকপক্ষ ক্যামিকেলের কনটেইনার রিমোভ করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা দমকলকর্মী, শ্রমিক ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এ বিস্ফোরণে হতাহত হন।