সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৮:৫৪ এএম
বাংলাদেশ সীমান্তে টিয়ার শেল ও গোলাবারুদ নিক্ষেপে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত হন। আহত হন রোহিঙ্গা শিশুসহ পাঁচজন। এই ঘটনায় আবারও প্রতিবেশী মিয়ানমারের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো-কে চতুর্থবারের মতো তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ রবিবার দেশটির রাষ্ট্রদূতকে মন্ত্রণালয়ে আসতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে দেশটিকে সতর্ক করবে ঢাকা।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলাবারুদ ও বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় সম্প্রতি আরও তিনবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সতর্ক করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ফোরামে যাওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বান্দরবানের ঘুমধুম ঘোনারপাড়া সীমান্তে শূন্যরেখায় মর্টারের ওই গোলা এসে বিস্ফোরণ হয়। এতে মোহাম্মদ ইকবাল (২৮) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত আট জন।
এর আগে সবশেষ ৪ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মাইনুল কবির একই ঘটনায় রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলব করে প্রতিবাদপত্র দেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার ভূখণ্ডে থেকে ছোড়া একটি গুলি বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়ে। এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে।
তারও আগে, ২৮ আগস্ট বিকালের দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু এসে পড়ে।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে মিয়ানমারের মর্টারশেল ছোড়ার বিষয়ে প্রয়োজনে জাতিসংঘে উত্থাপন করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তবে কাজ না হলে জাতিসংঘে জানানো হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের গুলি তাদের সীমানায় থাকা উচিত। তাদের বিজিপি বাহিনীর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে।