সেন্ট মার্টিনে একদিনে ৮ হাজার পর্যটক, বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৯:২৬ পিএম

সেন্ট মার্টিনে একদিনে ৮ হাজার পর্যটক, বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটকে গিজগিজ করছে। আজ শুক্রবার সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে গেছেন অন্তত আট হাজার পর্যটক। অর্ধেকের বেশি পর্যটক বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ১০টি জাহাজে টেকনাফ ও কক্সবাজার ফিরে এলেও অন্যরা দ্বীপে থেকে গেছেন।

তারা রাতযাপন করবেন সেখানকার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও কটেজে। পর্যটকদের কেউ হাটবাজার, সমুদ্রসৈকত ও দোকানে পায়চারি করছেন। কিন্তু অধিকাংশ পর্যটকের মুখে মাস্ক নেই। দ্বীপের কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ফলে দ্বীপে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, অন্যান্য সময়ে দৈনিক গড়ে পাঁচ হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে এলেও আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এসেছেন আরও কয়েক হাজার বেশি। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দূরের কথা, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো—ভ্রমণে আসা অধিকাংশ পর্যটকের মুখে মাস্ক নেই। এতে করোনার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। যদিও এ পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ১১ হাজার বাসিন্দার কারও করোনা শনাক্ত হয়নি এবং করোনায় কারও মৃত্যুও হয়নি।

ঘাট ইজারাদারেরা বলছেন, শুক্রবার সেন্টমার্টিন জেটিঘাট দিয়ে দ্বীপে উঠেছেন আট হাজারের বেশি পর্যটক। পর্যটকে গিজগিজ করছে দ্বীপের তিন দিকের সৈকত।

শুক্রবার সকাল ৯টায় টেকনাফের নাফ নদীর দমদমিয়া ঘাটে পর্যটকের ঢল দেখা যায়। জাহাজে ওঠার জন্য পর্যটকেরা হইচই করছেন। আটটি জাহাজে তোলা হয় পর্যটক। সাড়ে ৯টার দিকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ‘বে ক্রুজ’ জাহাজ।
২৫০ জন ধারণক্ষমতার ওই জাহাজে ওঠানো হয়েছে ৪৫০ জনের বেশি। পর্যটকেরা কেউ চেয়ারে, কেউ রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। অধিকাংশ পর্যটকের মুখে নেই মাস্ক।

Link copied!