ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (চবি) ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে হত্যার কোনো প্রমাণ পায়নি সিআইডি। ছয় বছর আগে ওই ছাত্রলীগ নেতা আত্মহত্যাই করেছেন জানিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্তকারি সংস্থা সিআইডি। এর আগেও পুলিশ জানিয়েছিল দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন। দ্বিতীয় দফার তদন্তে এবার সিআইডিও বলছে ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা আত্মহত্যাই করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আবদুস সালাম মিয়া চট্টগ্রাম জেলা আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। চট্টগ্রাম জেলা আদালতের প্রসিকিউশন শাখার পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন মাহমুদ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “সিআইডি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে আমরা ডকেট এখনো দেখিনি।পরবর্তী কার্য দিবসে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।”
তবে প্রতিবেদনে বিষয়বস্তু সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেছেন সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ। তিনি বলেন, “ “হত্যা মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে আমরা পেয়েছি দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে। তাই ‘তথ্যগত ভুল’ উল্লেখ করে আমরা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তদন্তে যা পেয়েছি সে অনুযায়ীই প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নিজ বাসা থেকে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন দিয়াজ।
এ ঘটনায় দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর ১০ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করেন। এতে অভিযুক্ত করা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, চবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ নেতা আবুল মনসুর জামশেদ, তাদের অনুসারী রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমানকে। সিআইডির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।