জুলাই ২৪, ২০২৩, ০১:২২ এএম
১৯৭১ এর মুক্তিসংগ্রামের নিউক্লিয়াসকে অন্তরে ধারণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গতাজের আদর্শকে অন্তরে ধারণ করে দেশ ও জাতি গঠনে তরুণ নার্সিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
রবিবার (২৩ জুলাই) তাজউদ্দীন আহমদের ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘তারুণ্যের প্রেরণায় বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ: বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং ‘বঙ্গতাজ স্বাস্থ্যসেবা সংস্থার (বিটিএসএস)’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে বিকেল ৪ টায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিটিএসএস ব্যবস্থাপনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এরশাদুর রহমান।
সভার শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। উক্ত সভায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলার স্থপতি, বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দী আহমদ সহ জাতীয় চার নেতা, সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।
উপস্থিত বক্তার বক্তৃতা তাজউদ্দীন আহমদের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তানজিম আহমেদ সোহেল বলেন, ১৯৭১ এর মুক্তিসংগ্রামের নিউক্লিয়াসকে অন্তরে ধারণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গতাজের আদর্শকে অন্তরে ধারণ করে দেশ ও জাতি গঠনে তরুণ নার্সিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
নার্সিং পেশা কে পৃথিবীর সবচেয়ে মহৎ পেশা হিসেবে উল্লেখ করে, গ্রাজুয়েট নাম- কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বঙ্গতাজা স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা (বিটিএসএস) গঠনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। অতঃপর জনাব তানজিম আহমেদ সোহেল বঙ্গতাজ স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা (বিটিএসএস) এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
তারুণ্যের প্রেরনায় বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের ভুমিকা অপরিসীম এবং যুব সমাজের সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মানে কার্যকরী ভুমিকা রাখবে।
তাজউদ্দীন আহমদের সৃতিচারন করে বলেন, সোহেল তাজ বলেন, ১৯৩০ সালের শেষ নাগাত কলেরা মহামারী হয়েছি যখন মৃতদেহ দাফনের সাহস পেতো না তখন তাজউদ্দিন সহপাঠীদের নিয়ে সেই লাশ গুলোকে দাফন করেছেন।
তিনি আরোও বলেন, ১৯৭১ সালে তাজউদ্দীন আহমদ দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে দেশ ত্যাগ করলেন তখন মাকে কিছু বলে যাবার সময় পান নি। শুধু ছোট একটা চিরকুট লিখে গেছেন, সারে ৭ কোটি মানুষের সাথে মিশে যেও কবে দেখা হবে জানিনা।
১৯৭২ সালে ডিসেম্বর মাসে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন উনি বলেছিলেন ৩০ মার্চ ১৯৭১ ভারত ও বাংলাদেশ বর্ডার ক্রস করেন তখন তিনি ভাবলেন, বাংলাদেশের মুক্তি আনতে হলে সরকার গঠন করতে হবে তারপর ১০ এপ্রিল প্রথম সরকার গঠন করেন।
সেসস্ময় পশ্চিম বিশ্বে স্নায়ু যুদ্ধ হতো, একটি জটিল ভু রাজনৈতিক ঘটনার মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে এসব মোকাবিলা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মান ছিলো অনেক চ্যালেঞ্জ।
যুদ্ধের সময় মুক্তি যুদ্ধাদের স্বশস্ত্র বাহিনীতে সজ্জিত করে তিনি গুরুদায়িত্ব পালন করে ছিলেন।
বঙ্গতাজের জীবন থেকে অনেক কিছু শিক্ষনীয় রয়েছে।
এই দেশটা আমাদের সবার, দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দ্বায়িত্ব আছে, আমরা যে যেখানে আছি সেই অবস্থান থেকে আমরা অবদান রাখতে পারি।
দূর্নীতি প্রতিটি যায়গায় ছড়িয়ে গেছে দুর্নীতি একটা ক্যানসার। এই ক্যানসার থেকে দেশকে বাচাতে হবে।
আমরা প্রত্যেকে যদি প্রচেষ্টা করি একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবো
সংস্থার নিজস্ব পতাকা উন্মোচন এবং সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট বিটিএসএস-কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়।