এপ্রিল ৯, ২০২২, ১০:২২ এএম
জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযান অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য ও উদ্ভিজ্জ তেলের বাজারের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলায় গত মার্চ মাসে বিশ্বব্যাপী এসব পণ্যের মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় গিয়ে ঠেকেছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন এবং রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার ফলে রপ্তানিপ্রবাহে তৈরি হওয়া সমস্যা বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা সংকটের আশঙ্কা তৈরি করছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাজুড়ে। এসব জায়গায় উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ শস্য উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলো বিশ্বের প্রধান ‘রুটির ঝুড়ি’ বলে পরিচিত। এ ছাড়া গম, উদ্ভিজ্জ তেল, ভুট্টাসহ বেশ কয়েকটি প্রধান পণ্য রপ্তানি হয় এসব অঞ্চল থেকে।
এফএও এক বিবৃতিতে বলেছে, কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে যুদ্ধ প্রধান শস্য এবং উদ্ভিজ্জ তেলের বাজারে বড় ধাক্কা দিয়েছে। এ কারণে মার্চ মাসে বিশ্ব খাদ্যপণ্যের দাম বড় লাফ দিয়ে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
এফএওর খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচকে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায় খাদ্যপণ্যের দাম। আগের মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়ে ১২.৬ শতাংশ । জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, ১৯৯০ সালে সূচক গণনা শুরুর পর থেকে এটি সর্বোচ্চ স্তর।
এফএও বলছে, উদ্ভিজ্জ তেল, খাদ্যশস্য ও মাংসের দাম নতুন উচ্চতায় গিয়ে ঠেকেছে। চিনি ও দুগ্ধজাত খাবারের দামও তাই। সংস্থাটি মনে করে, গত তিন বছরে বিশ্বব্যাপী গম ও ভুট্টা রপ্তানিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের অবদান যথাক্রমে ৩০ শতাংশ ও ২০ শতাংশ। ইউক্রেনে বীজ বোনার মৌসুম শুরুর মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।
খবরে বলা হয়, গমের দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে। আরেক বড় উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্রে ফলনের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সমস্যাটি আরো বেড়েছে। উদ্ভিজ্জ তেলের দাম ২৩.২ শতাংশ বেড়েছে, যাতে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে। ইউক্রেন বিশ্বের শীর্ষ সূর্যমুখী তেল রপ্তানিকারক।