ছবি: সংগৃহীত
এখন ইনফ্লুয়েন্সার শব্দটির সঙ্গে কম বেশি সবাই পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থিত থাকলে কোনো না কোনো সময়ে অজান্তেই ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিডিও কিংবা পোস্ট দেখেছেন।
আগে একটা সময় ছিল যখন ইন্সফ্লুয়েন্সাররা মার্কেটিং কিংবা ব্র্যান্ড প্রমোশন করতেন। কিন্তু এখন তারা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তবে এই ব্যবসার মধ্যে একটি বিশেষ ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। অর্থাৎ দ্রুত সময় লাভ করা যায় এই ধরনের ব্যবসা করছে তারা।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটার হিসেবে কত টাকা আয় করা যায়?
ইনফ্লুয়েন্সের মার্কেটিং নির্ভর করে ফ্যান-ফলোয়ারের ওপর। তাই এর আয়ের দিকটাও নির্ভর করে এই ফ্যান-ফলোয়ারের ওপর। এতে কোনো ধরা বাধা নিয়ম নেই।
ধরুন, বৈশ্বিক স্তরে হটস্যুইটের মতে একজনের ফ্যান ফলোয়ার যদি ৫০ হাজার হয় তবে একজন ইনফ্লুয়েন্সের হিসাবে আপনার প্রতি পোস্ট থেকে আয় হবে ২৬৬ ডলারের মতো।
তবে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এতটা আয় করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। এটা শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথা কিন্তু এর সঙ্গে আপনি কোনো কোম্পানির অথবা প্রোডাক্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে যেতে পারলে আয় বেশি হয়।
এখন ব্র্যান্ড প্রোমোশন ও মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি ব্যবসার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপিকা ড. নাসরিন আক্তার বলেন, “সবকিছুর শুরু আছে, গ্রোথ আছে, ম্যাচিওরিটি আছে। আজকে একজন ইনফ্লুয়েন্সার যেখানে আছে সবসময় সেখানে নাও থাকতে পারে। একজন ইনফ্লুয়েন্সার মানুষকে ইনফ্লুয়েন্স করে, অন্যের পণ্যের মার্কেটিং করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যেমন আমাদের ব্যবসা বিস্তৃতির চেষ্টা করি, তেমনই ইনফ্লুয়েন্সাররাও একটা জায়গায় গিয়ে তাদের ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগিয়ে যে যে জায়গায় অভিজ্ঞ সেই জায়গায় ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টা করে।”
এ প্রসঙ্গে সঙ্গীত শিল্পী ও ইনফ্লুয়েন্সার মাহমুদ হাসান তাবিব বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে থাকেন। তবে একার পক্ষে সবাইকে পরামর্শ দেয়া সম্ভব হয় না। তাই একটি একাডেমি গড়ে তুলেছি। মূলত পড়াশুনা সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য এই একাডেমি গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।”
বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ইনফ্লুয়েন্সারই ভরসা
এখন বিভিন্ন শহরে বিনোদনের মাধ্যম কমে গিয়েছে। তাই বড় একটি অংশ শপিং, খাওয়াদাওয়াই বিনোদনের অংশ হিসেবে নিয়েছে। ফলে বড় একটি ভোক্তার বাজার তৈরি হচ্ছে। এটাকেই কাজে লাগাচ্ছে ইনফ্লুয়েন্সাররা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপিকা ড. নাসরিন আক্তার বলেন, “বাংলাদেশের ই-কমার্স বা ফেসবুক কমার্সে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ক্লথিং বা লাইফ স্টাইল এলিমেন্টসের এরপর টেকনোলজি বা ইলেক্ট্রনিক পণ্য। ফুড আইটেমের চাহিদাও অনেক কারণ আমাদের এন্টারটেইনমেন্টের উপায় খুব কম। এন্টারটেইনমেন্টের উপায়ও পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষের বিনোদনের বড় মাধ্যম হচ্ছে খাওয়া বা শপিং করা। সে জন্য ইনফ্লুয়েন্সাররাও এদিকে ঝুঁকছে।”
তিনি আরও বলেন, “বুক ক্লাবিংয়ের ওপর কিন্তু কোনো ইনফ্লুয়েন্সার বা কেউ বিনিয়োগ করবে না। কারণ সেখানে আমাদের দর্শক বা ভোক্তা নেই। দর্শক আছে কাপড় কেনাতে, দর্শক আছে ফানি ভিডিও দেখাতে, দর্শক আছে খাবারের রিভিউ নিতে। সে জন্য আপনার দর্শক ও ভোক্তা যেখানে থাকবে ব্যবসায়ীরাও সেখানে বিনিয়োগ করবে।”
বাড়ছে প্রতারণার প্রবণতা
ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের পেইজ ও ফ্যানদের ভোক্তায় পরিণত করার পর প্রতারণা করার প্রবণতাও বেড়েছে। ১৩ মে রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় ‘সানভিস বাই তনি’র শোরুমে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে পণ্য আমদানির কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন বিক্রেতা। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, “তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, কিন্তু ডেলিভারি দেয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।”
এদিকে ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’ তার ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংস ‘ব্লু’ বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেয়নি। এদিকে কৃত্রিম সংকট করে বেশি দামে ‘ব্লু’ বিক্রির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
গত ২৪ এপ্রিল মোড়কের নিবন্ধন না থাকায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। সেই সঙ্গে নোংরা পরিবেশের জন্য মৌখিক সতর্কতা দিয়েছিল।
সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, “বেশির ভাগ সময় ফ্যানরা যেহেতু তাদের ভোক্তা হয় সেক্ষেত্রে তারা ফ্যান তথা ভোক্তাদের আশ্বস্ত করে পার পেয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পণ্য নয় বরং ইনফ্লুন্সারকে খুশি করতে তারা অর্ডার করছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে তারা শুধুই ব্যবসায়ী এটি ভেবেই তাদের প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ করা উচিত।”
পোশাক, প্রসাধনীতে ব্যবসা বেশি
এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সাররা যে সব ব্যবসা করছে তার ৫০ শতাংশই পোশাক, ফ্যাশন, প্রসাধনী সংক্রান্ত। নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসেই তারা এই ধরনের পণ্যের অর্ডার নিচ্ছেন।
ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যে ফুড ভ্লগার ফাইজা। ফেসবুক ফলোয়ার সংখ্যাও ১০ লাখের বেশি। ‘ক্ষুধা লাগছে’ ফেসবুক পেজে ফুড, ট্রাভেল ভ্লগিং ও গেট রেডি ভিডিও করে থাকেন। ‘নেক্সট ডোর ফাইজা’ নামে একটি ক্লথিং ব্র্যান্ডও চালু করেছেন তিনি।
‘নিজের ঠোঁট কাটা স্বভাব’, ‘তার ওপর নিজের থেকে বেশি বয়সের ছেলেকে বিয়ে’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত মুখ রুবাইয়াৎ ফাতিমা তনি। সানভিস বাই তনি নামে পোশাকের একটি ব্র্যান্ডও রয়েছে তার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জিন আপা নামে পরিচিত মাহি। মদ্যপান করে মাহি এবং তার স্বামী তাদের ২১ দিনের সন্তানকে হত্যা করেছেন বলেও অভিযোগ আছে তাদের নামে। এখন তিনিও নাকি কাজ করছেন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে। গ্ল্যামারাস গ্যালারি বাই মাহি নামের একটি ক্লথিং ব্র্যান্ড রয়েছে তার।
ফারিয়া নাওয়াজ সোশ্যাল মিডিয়ার একজন পরিচিত মুখ, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ব্র্যান্ড প্রোমোটার। এসএসসি এগ্রো ও এসএ করপোরেশন নামে একটি ক্লথিং ব্র্যান্ড রয়েছে তার। বিউটি অ্যান্ড লাইফ স্টাইল ভ্লগার ও সোশ্যাল মিডিয়ে ইনফ্লুয়েন্সার নাসরিন আক্তার ফারিয়া। ম্যাগনিফিক বাই ফারিয়া নামের একটি পোশাক বিজনেসও আছে তার।
জনপ্রিয় পোশাক ব্র্যান্ড ‘শরদিন্দু’র কর্ণধার হাবিবা আক্তার সুরভীকে। একজন সফল উদ্যোক্তা, নকশাকার, সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার নানা পরিচয়ে পরিচিত তিনি। টেলস অব আ বং গার্ল নামক একটি ফেসবুক পেজও আছে তার।
বিড়াল নিয়ে ভিডিও বানিয়ে ভাইরাল বনে যান তাপসী দাস। এরপর শুরু করেন ভ্লগিং। কিছুদিন আগেই শুরু করেছিলেন পোশাকের ব্যবসা। গলুস শপ নামের একটি পেইজের মাধ্যমেই এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি। এবারের বই মেলায় বইও প্রকাশ পেয়েছে তার।
মেহজাবীন রিনতি কণ্ঠশিল্পী ও উপস্থাপক। একসময় কাজ করেছেন দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলে। এখন মিডিয়া থেকে অনেকটা দূরে রয়েছেন তিনি। স্বামী-সন্তানসহ বসবাস করছেন লন্ডনে। হেয়ার ফান নামক একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ড আছে তার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ পরিচিত মুখ নওরীন আফরোজ। তার ফেসবুক ফলোয়ার সংখ্যাও প্রায় ৩৫ লাখ। অর্গানিক হেয়ার অয়েল নামে একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ড রয়েছে তার।
শাহানাজ শিমুল একজন মেকআপ আর্টিস্ট কনটেন্ট ক্রিয়েটর বিউটি ব্লগার। বসবাস করছেন লন্ডনে। মেকআপ ভ্লগিং করে জনপ্রিয়তা পেয়ে ‘শাহনাজ’ নামে একটি পেজের মাধ্যমে প্রসাধনী বিক্রি করছেন তিনি।
আফরিন আনিস রহমান। একজন সফল উদ্যোক্তা, ব্র্যান্ড প্রোমোটার,ভ্লগার। স্মার্ট শপিং বিডি নামের একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ড রয়েছে তার। ফেসবুক পেজে ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।
খাবার-রেস্টুরেন্ট ব্যবসা
ইনফ্লুয়েন্সারদের মাঝে খাবার ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নিয়ে ব্যবসারও প্রবণতা বেড়েছে। তবে যারা ফুড ব্লগ করে শুধু তারা নয় বরং অন্য বিষয়ে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি।
তবে রেস্টুরেন্ট নয় বরং একটি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করছে আলোচিত ফুড ভ্লগার ইফতেখার রাফসান। যিনি ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’ নামে বেশি পরিচিত। তবে তার এই ব্র্যান্ড নিয়ে চলছে বিতর্ক।
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে নোংরা পরিবেশে নিবন্ধন ছাড়াই ‘ব্লু’ নামে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বাজারজাত করছেন তিনি। ২৬ বছর বয়সের এই ভ্লগারের ফুড ভ্লগিং দিয়ে হলেও একে একে ট্রাভেল ভ্লগিং এমনকি বর্তমানে মডেলিং ও করছেন তিনি। ফেসবুকে তার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। নানা কারণে আলোচনায় থাকায় বছরখানেক আগে এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর ব্যবসায়ী হিসেবেও নাম লেখান।
গত বছর ৭ ডিসেম্বর থেকে ‘ব্লু’ নামের ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক বাজারজাত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি, অনুমোদনে জটিলতা
কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ব্র্যান্ড প্রোমোটর, অভিনেত্রী ও মডেল হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে বারিশ হকের।ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন বেশ কয়েকদিন থেকে। মুসাফির নামের একটি রেস্টুরেন্ট আছে তার।
পরিচালক ও মডেল হিসেবে পরিচিত আলভি রায়হান সীমান্ত। স্ত্রী বারিশ হককে সঙ্গে নিয়ে যুক্ত হয়েছেন বেশ কিছু ব্যবসার সঙ্গে আগে মুসাফির রেস্টুরেন্ট ও গেল কিছুদিন আগে হেলিকপ্টার বিজনেস এর সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন তারা।
শিক্ষা ও কোর্স ব্যবসা জমজমাট
আয়মান সাদিক দেশের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর। শিক্ষকও যে একজন সেলিব্রেটি হয়ে উঠতে পারেন, তারই প্রমাণস্বরূপ আয়মান সাদিক। টেন মিনিট স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠা করেছেন যার মাধ্যমে তিনি বিনামূল্যের অনলাইন শিক্ষা দিয়ে থাকেন থাকেন। এখন যদিও বিভিন্ন বিষয়ে পেইড কোর্স চালু করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে স্মার্টবুক, টেন মিনিট স্কুল ব্লগ, টেন মিনিট স্কুল লাইভ নামে কয়েকটি শাখায় পাঠ্যন্তর্ভুক্ত ও জীবন দক্ষতা বিষয়ক শিক্ষা দান করে। এখন এই প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ১৩ লাখ। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সম্পূর্ণ একাডেমিক সিলেবাস, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির বিষয়গুলোও চর্চা করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী থাকাকালীন টেন মিনিট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
এই সময়ের জনপ্রিয় একজন উদ্যোক্তা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে সমধিক পরিচিত খালিদ ফারহান। গতানুগতিক কর্মসংস্থানের দিকে না ঝুঁকে নিজের মেধা ও মনন কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি। এখন অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিশ্ব অর্থনীতি ও ব্যবসা কেন্দ্রীক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন তরুণ প্রজন্মকে।
গালি বয় রানা নামে একটি গান দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে মাহমুদ হাসান তাবিব। এখন তার পেজে ১৬ লাখ অনুসারীও আছে। গানের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে তার সরব উপস্থিতি দেখা যায়। এখন তিনি এডুকাটম একাডেমি নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত আছে।