আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রণে পরিশোধিত-অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভোজ্যতেল আমদানি, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কেনাবেচার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপনে ভ্যাট কমানো হয়েছে। এ
এনবিআর এক প্রজ্ঞাপনে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন কিংবা পাম তেলের উৎপাদন এবং ব্যবসায়িক পর্যায়ে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ১৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।
অপর আরেকটি প্রজ্ঞাপনে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন কিংবা পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর এ সিদ্ধান্ত নিলো। ১৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ কমানোর সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। এছাড়া উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই দিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠকে ভোজ্যতেলের আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়।