বৃহস্পতিবার থেকে রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৩, ২০২২, ১২:৫১ এএম

বৃহস্পতিবার থেকে রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে রাত ৮টার পর রাজধানীসহ সারা দেশের  দোকানপাট বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকর‌্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ২০ হাজার বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এবার হাসপাতালে আগের মতো চাপ হতে দেবো না।”

করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট রোধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া বিধি-নিষেধ কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়ন করা না গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার রোধে গত ৪ জানুয়ারি ১৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগমে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এই নির্দেশনায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ নির্দেশনা:
১) দেশের বন্দরগুলোতে ওমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।
২) সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।
৩) বাড়ির বাইরে সব সময় সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
৪) রেস্তোরাঁয় ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম লোক বসে খেতে পারবে।
৫) সব ধরনের জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/ থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম লোক অংশ নিতে পারবে।
৬) মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
৭) গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
৮) আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
৯) সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
১০) সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহীতা, সেবাপ্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
১১) যারা এখনও কোভিড টিকা নেননি, টিকাকেন্দ্র গিয়ে তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
১২) কোভিডের উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত কোভিড রোগীদের আইসোলেশন এবং কোভিড রোগীদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
১৩) কোভিডের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা এবং তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা করতে হবে।
১৪) অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে; সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি দাফতরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে, টিকা নেওয়া থাকলেও বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
১৫) কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচার চালানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডার মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ আহ্বান জানিয়েছে এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করতে।

Link copied!