মার্চ ২১, ২০২৪, ০১:১৮ এএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য শিরীণ আখতার দায়িত্বের শেষ দিনে অন্তত ৬জন ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩৭ কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। নতুন উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক শিরীণ আখতারের শেষ কার্যদিবসে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের ছয়জন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সাতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু বকর, ইবনুল নেওয়াজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিমা আক্তার, সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন ওরফে সাদ্দাম, ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী নাঈম আজাদ ও বাদল কান্তি চাকমা। তারা সবাই তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
এছাড়া তাঁদের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা ফতেপুর ইউনিয়নের মদনহাট গ্রামের মো. সোলাইমান, মোহাম্মদ জুবায়ের ও পাপড়ি রুদ৶, জোবরা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, ফতেপুর গ্রামের পারভীন আখতার, জয়নাল আবেদীন, ইব্রাহিম আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সবাই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হলে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। এরপর প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে মৌখিক অথবা ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতে হয়। পরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশের আবেদন অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে পাঠানো হয়। সিন্ডিকেট নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। কিন্তু বিদায়ী উপাচার্যের শেষ দিনে এসব নিয়মনীতি মানা হয়নি।
এনিয়ে গত তিন মাসে একই প্রক্রিয়ায় অন্তত ১০৫ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। উপাচার্যের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষক সমিতি আন্দোলন শুরু হলে একের পর এক নিয়োগ দেন তিনি। অধ্যাপক শিরীণ আখতারকে সরিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মো. আবু তাহেরকে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।