চিকিৎসক হওয়ার পথের শুরু; প্রয়োজন যেসব কাগজপত্র

ক্যারিয়ার ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪, ১২:০৭ পিএম

চিকিৎসক হওয়ার পথের শুরু; প্রয়োজন যেসব কাগজপত্র

সংগৃহীত ছবি

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি শুরু হয়েছে। গত রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলবে ২৪ ফেব্রুয়ারি কর্মদিবসে কর্ম সময়কাল পর্যন্ত। 

ভর্তির সময় নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:

১. ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র।

২. এইচএসসি পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড।

৩. এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিন্ট/নম্বরপত্র।

৪. এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র ও প্রশংসাপত্র।

৫. স্থানীয় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত মূল নাগরিক সনদপত্র।

৬. চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙ্গিন ছবি।

৭. মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বিধি বিধান অনুসরণ করা হবে।

৮. পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্কেল চীফ এবং জেলা প্রশাসকের সনদ ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ বা জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্র প্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়  ১১ ফেব্রুয়ারি।

এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৪৯  হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় ছেলেদের পাসের হার ৪০.৯৮% (২০ হাজার ৪৫৭) এবং মেয়েদের পাসের হার ৫৯.০২% (২৯ হাজার ৪৬৬)।

মেডিকেলে সুযোগপ্রাপ্তদের মধ্যে মেয়েরা এগিয়ে। সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগপ্রাপ্ত মেয়েদের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৮ জন (৫৬.৫৪ শতাংশ)। ছেলের সংখ্যা ২ হাজার ৩১২ জন (৪৩. ২৬ শতাংশ)।

সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০ টি আসনের নির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ৩৪৭ জন এবং গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ১হাজার ৩ জন। ২০২২- ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটে ভর্তিরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবছর ভর্তি পরীক্ষায় সফল শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ জন।

মেধা কোটার ৫ হাজার ৭২টি আসনের মধ্যে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ১৯৪ জন (৪৩.২৬%) এবং মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৭৮ জন (৫৬.৭৪%)। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট আসন সংখ্যার ৫% হিসাবে ২৬৯ জন শিক্ষার্থী এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় ৩৯ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার শর্তানুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী এ ফল প্রকাশ করা হয়।

Link copied!