“পর্দার আড়ালের অপরাজনীতি” বন্ধের দাবি বুয়েট শিক্ষার্থীদের

জাতীয় ডেস্ক

এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম

“পর্দার আড়ালের অপরাজনীতি” বন্ধের দাবি বুয়েট শিক্ষার্থীদের

ছবি: সংগৃহীত

গত বছর টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে শিবির কর্মী সন্দেহে গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাময়িক বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সমমনা ১৬ শিক্ষার্থী। একই সঙ্গে তারা বুয়েটে “পর্দার আড়ালের অপরাজনীতি” বন্ধেরও দাবি তুলেছেন। ‘ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ’ ব্যানারে তারা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি ওঠে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শহীদ মিনারে এই সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা এসব দাবি সংবলিত একটি আবেদন উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদারের কাছে জমা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত আবেদনটি পড়ে শোনান বুয়েটের ছাত্র মিশু দত্ত, তানভীর মাহমুদ ও সাগর বিশ্বাস। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জে আটক বুয়েটের ২৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা মামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তারা গত বছরের ৬ আগস্ট একটি মানববন্ধন করেন। এ জন্য ছাত্রদের ডেকে ডেকে নানাভাবে জবাবদিহি করা হয়, ভয় দেখানো হয়। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেও তদন্ত বা দোষীদের শাস্তি হয়নি।

আরও বলা হয়, বুয়েট ক্যাম্পাসে হিযবুত তাহরির ও শিবিরের মতো উগ্রবাদী সংগঠন যে সক্রিয়, সেই অভিযোগও আগে করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের সত্যতা বুয়েটের একটি সিসিটিভি ফুটেজে রয়েছে। সেই ফুটেজে যাদের দেখা গেছে, তাদের পরিচয় দ্রুত প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানান এই ১৬ শিক্ষার্থী।

“গোপন ষড়যন্ত্র ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিতের আশঙ্কায়” মামলা
টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে শিবির সন্দেহে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নামে সরকারের বিরুদ্ধে “গোপন ষড়যন্ত্র ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিতের আশঙ্কায়” সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছিল পুলিশ। মামলাটি এখন বিচারাধীন।

রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার মামলার যারা আসামি, তাদের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে একসঙ্গে থাকাটা “জীবনের জন্য হুমকি” বলে মনে করছেন এই ১৬ শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগ সমমনা শিক্ষার্থীরা বুয়েট উপাচার্যকে বলেন, “জঙ্গিবাদের সিক্রেট গ্রুপে আমাদের নাম-পরিচয় উন্মোচন আমাদের জন্য ভীতিকর ও আমাদের পরিচয় সেখানে উন্মোচনের সঙ্গে বুয়েটের কেউ অবশ্যই সংযুক্ত। কে বা কারা এটা করছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের অনুরোধ জানাই। জামিনে থাকা আসামিদের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে থাকা যেহেতু খুব ভীতিকর; তাই যতদিন মামলার নিষ্পত্তি না হচ্ছে, ততদিন তাদের সাময়িক বহিষ্কার করে ক্যাম্পাসে তাদের গতিবিধি রোধ করা হোক।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে ওই ১৬ জনের একজন আশিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বুয়েটে আমরা জঙ্গিবাদ দেখতে চান না। ক্যাম্পাসে পর্দার আড়ালের অপরাজনীতি আমরা বন্ধ চান। আমরা নিয়মতান্ত্রিক “পলিসি পলিটিক্সের” পক্ষে ও “পাওয়ার পলিটিক্সের বিপক্ষে”। উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় সোচ্চার।

Link copied!