ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ০৮:৫৯ পিএম
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর মাজহারুল কবির শয়নকে সভাপতি ও তানভীর হাসান সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১০(ক) ধারায় বলা আছে, ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা শাখার নির্বাহী সংসদ গঠিত হবে (বিশ্ববিদ্যালয় জেলা শাখার সমপর্যায়ের) এবং ১০(খ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘জেলা শাখার কার্যকাল এক বছর’। বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমতিক্রমে ৯০ দিন বৃদ্ধি করা যাবে।
এই ধারা অনুযায়ী এক বছরের জন্য এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শয়ন-সৈকতের নেতৃত্বে সেই কমিটির এক বছর পূর্ণ হলো গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর)। অথচ পূর্ণাঙ্গ কমিটিই ঘোষণা করা হয়নি ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার।
এদিকে মেয়াদ শেষ হলেও ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ার পিছনে ঊর্ধ্বতনদের দায়ী মনে করছেন পদপ্রার্থীরা।
কোনো কমিটি ছাড়াই ঢাবি ছাত্রলীগ ঠিক কোন পথে এগুচ্ছে সে নিয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাস্টারদা সূর্যসেন হলের এক পদপ্রত্যাশী নেতা জানান, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক চাইলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারতেন। কিন্তু এটা নির্বাচনের বছর হওয়ায় সাংগঠনিক চাপসহ বিভিন্ন কারণে হয়তো কমিটি দেননি। তবে শুনেছি খসড়া হয়ে গেছে। যাচাই বাছাই চলছে। নির্বাচনের পর হয়তো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে আশা করা যায়।
এ বিষয়ে দ্য রিপোর্ট লাইভের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এর পিছনে রয়েছে কৌশলগত কারণ।
সৈকত বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দ্বারপ্রান্তে। সেজন্য কৌশলগত কারণে এখন কমিটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে কমিটি দেওয়া হবে। নির্বাচনের পর সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে কমিটি দেওয়া হবে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন দ্য রিপোর্ট লাইভকে বলেন, যেকোনো সময়ই কমিটি দেওয়া হতে পারে। সেটা নির্বাচনের আগে বা পরে যেকোনো সময়।