মার্চ ২১, ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোজায় আলোচনা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে সংবাদমধ্যমগুলোতে ‘অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার ( ২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোজায় অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোজায় আলোচনা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান আয়োজনে কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন। প্রকৃতপক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনও রোজায় শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক অনুষ্ঠান আয়োজনে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।’
আরও বলা হয়, ‘বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনের অনুসারীরা রোজার মাসকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই-একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে, যার ফলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রক্টর অফিস থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে রোজার অনুষ্ঠান আয়োজনে `নিষেধাজ্ঞা` শব্দটি কোথাও উল্লেখ নেই।’
এর আগে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে রোজায় আলোচনা সম্পর্কিত কোনো অনুষ্ঠানের অনুমতি না দিতে হলের প্রভোস্ট, অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের নির্দেশ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে রমজানের অনুষ্ঠান আয়োজনে ‘নিষেধাজ্ঞা’ শব্দটি কোথাও উল্লেখ নেই। যেটি বুধবার (২০ মার্চ) হাতে পান সকল অনুষদের ডিনরা।
ওই চিঠির ভাষ্যমতে, এ ঘটনার জের ধরে কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিবর্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছে। একইসাথে শিক্ষার সুষ্ঠূ পরিবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি না দেওয়ার অনুরোধ করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ রোজার মাসকে ঘিরে আলোচনার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। আবার একই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায় রমজানকে স্বাগত জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের কেন শাস্তি দেওয়া হবে না তার জবাব চেয়ে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। গত ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনস্থ বটতলায় মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত আসরের আয়োজন করে আরবি সাহিত্য পরিষদ নামে একটি সংগঠন।