জুলাই ১৩, ২০২৪, ১১:২৩ এএম
২০১৫ সালে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ও বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জুলাই সাবেক সৈনিক নোমান সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি সূত্র জানায়, রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পিএসসি উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, সাবেক সৈনিক নোমান সিদ্দিকীসহ ১৭ জন এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পল্টন থানায় তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) আইনে মামলা করে সিআইডি। মঙ্গলবার তাদের সিএমএম আদালতে তোলা হলে সৈয়দ আবেদ আলীসহ ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পরে নোমান সিদ্দিকীসহ বাকি ১১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, নোমানকে এখন ২০১৫ সালের মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। নোমানসহ ১৭ জন স্বাস্থ্য ক্যাডার অন্তত ৩০টি নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত।
বুধবার সিআইডির গণমাধ্যম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যম প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩০টি নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষার বক্তব্যটি অস্বীকার করেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, “নোমান সিদ্দিকী আবেদ আলীর কাছ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তা মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করতেন। ফাঁস করা প্রশ্ন দিয়ে তার স্ত্রীকেও অডিটর হিসেবে চাকরি পাইয়ে দেন।”
জিজ্ঞাসাবাদে নোমান সিদ্দিকী জানান, ফাঁস করা প্রশ্নপত্র বিক্রি করে তিনি অন্তত ৫ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ঢাকার মিরপুর-১০ নম্বরের সেনপাড়া পর্বতায় একটি ফ্ল্যাট ও পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে ইত্তেহাদ নামের একটি পোশাক কারখানার মালিক তিনি।