জুলাই ৯, ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারেরএক দফা দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে ছাত্রলীগ সভাপতি এবং শহীদুল্লাহ্ কলাভবনের সামনে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা অবস্থান নেন (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনেই উপস্থিত ছিলেন)। পরে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হলে ক্যাম্পাসে শোডাউন শুরু করে ছাত্রলীগ।
বিক্ষোভ সমাবেশে সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাদের সেই সমাবেশ শেষ হয়। কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রতিবাদস্বরূপ রাস্তায় বসে বই পড়তে দেখা গেছে।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আমানুল্লাহ খান বলেন, “যদি সরকারি চাকরিতে এই কোটা বহাল রাখা হয় রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য, তাহলে বহিঃশত্রুর দরকার নেই। আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা নিজেরাই নিজেদের দেশ ধ্বংস করবো। এই রাষ্ট্রকে বিনির্মাণে ছাত্রসমাজ রাজপথে থাকবে। কোনো রকম হুমকি, হলে তালা, বাইক শোডাউন আমাদের দমন করে রাখতে পারবে না।”
নতুন কর্মসূচির বার্তা দিয়ে অন্যতম সমন্বয়ক রেজওয়ান গাজী মহারাজ বলেন, “আদিবাসীরাও অনেক এগিয়ে গেছে। তারাও অনেক ভালো ভালো চাকরি করছে। আমরা কোনওভাবেই তাদেরকে অনগ্রসর জাতি বলতে পারি না। আবার মেয়েদেরকে অনগ্রসর বলা হচ্ছে। তারা কেন এটা বলে এটা আমার মাথায় আসে না। আমরা আগামী দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও রুয়েটের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নামবো।”
এদিকে ক্যাম্পাসে অবস্থানের বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, “আমরা কর্মী সংগ্রহের জন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে বসেছিলাম। আমাদের আজকের কর্মসূচি ছিল সাংগঠনিক কর্মসূচি।” কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে তিনি বলেন, “আমরা নিরপেক্ষ রয়েছে। যার ইচ্ছা হয়, যেতে পারেন। কোনও বাধা নেই।”