ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৪:৩৪ এএম
স্বেচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রগ্রামে ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল একথা জানান।
সংবাদমাধ্যম কালের কন্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘কোটা যেভাবে রয়েছে সেভাবে বহাল ও অপরিবর্তনীয় থাকবে। জন্মগত ও প্রকৃতিগতভাবে যাঁরা নারী ও পুরুষের বাইরে অন্য লিঙ্গবৈচিত্র্যের, তাঁরাই এই কোটার সুযোগ পাবেন। এই জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য উচ্চশিক্ষার দ্বার খুলে দিতে ঢাবিতে ভর্তিতে তাঁদের জন্য কোটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা স্বেচ্ছায় লিঙ্গান্তর করেন, তাঁদের এই কোটায় সুযোগ দেওয়া হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকারের কাছে হিজড়াদের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থার সুপারিশ করে। ঢাবি গত শিক্ষাবর্ষের (২০২২-২৩) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রগ্রামে ভর্তিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে হিজড়াদের জন্য ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ নামে একটি কোটা চালু করে।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে শিক্ষার্থীরা এই কোটার বিরোধিতা করেন। তাঁরা এই কোটা বাতিল অথবা কোটা থেকে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা; অতি দ্রুত এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; হিজড়া জনগোষ্ঠীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া প্রভৃতি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, যাঁরা স্বেচ্ছায় সার্জারির মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন করে অথবা পরিপূর্ণ নারী বা পুরুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও বৈশিষ্ট্য থাকার পরও যাঁরা নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় দেন, তাঁরাও নিজেদের ট্রান্সজেন্ডার বলে এই কোটার মাধ্যমে সুবিধা ভোগ করবেন এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। তাই এই কোটা থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি বাদ দিতে হবে।