ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২, ০৩:০৪ পিএম
আসছে জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং সমমান পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হবে বলেও তিনি জানান। তবে কম বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে কি না, পরীক্ষার কাছাকাছি গিয়ে বলতে পারবেন বলে জনিয়েছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বৃহস্পতিকবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে সশরীরে ক্লাস শুরু
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আগামি জুন থেকে আগস্টের মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হবে। কম বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে কি না, পরীক্ষার কাছাকাছি গিয়ে বলতে পারব।”
সাধারণত প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষার সূচি নির্ধারণ করা হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমনের কারনে ২০২০ সাল থেকে নির্ধারিত সময়ে এ পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়নি। এবছরও যে সময়মতো এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না তা শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বক্তব্যে স্পষ্ট হেয়ে গেলো।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সশরীরে পাঠদান শুরু হবে। যারা করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তারাই ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন।”তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ২২ ফেব্রুয়ারির পর আরও ১০ থেকে ১৪ দিন সময় নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এই প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি বাংলাদেশও। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মতো শিক্ষা খাতও বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে বন্ধের প্রায় দেড় বছর পর গত বছরের ১৬সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে পরিস্থিতির অবনতি হলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়।
দেশে প্রথমবার করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চালু হয়।পরবর্তীতে করোনা বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ আছে। এই ছুটি আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।