বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন রবিবার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৯, ২০২২, ০৩:৪৩ পিএম

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন রবিবার

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি'র নির্বাচন রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত এবারের নির্বাচনে একাধিক প্যানেল অংশ নিচ্ছে। ১২০টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার রাজধানীর ঢাকা কলেজে শিক্ষা সমিতির নির্বাচনে 'আজমতগীর-জাফর' প্যানেলের (ব্যালট-খ) পরিচিতি সভা ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এই প্যানেলে সভাপতি পদে রয়েছেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর ও মহাসচিব হিসেবে রয়েছেন সৈয়দ জাফর আলী। অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক মহাসচিব, সহসভাপতিসহ একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন আর মহাসচিব প্রার্থী মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদেরও সদস্য সচিব। যুগ্ম মহাসচিব প্রার্থী হয়েছেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার এছাড়া বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ এবং সিনিয়র-জুনিয়ররাই আজমতগীর-জাফর প্যানেলের প্রার্থী। যাদের সমর্থন দিয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক মাসুমে রাব্বানী খান এবং অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) গুরুত্বপূর্ণ পদ ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। এই প্যানেলের প্রার্থীদের অভিযোগ, মাউশির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে প্রার্থী হয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের ওপর প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। 'আজমতগীর-জাফর' প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারের কাজে বাধা দিচ্ছে। 

এ নিয়ে আমতগীর-জাফর প্যানেলের মহাসচিব প্রার্থী সৈয়দ জাফর আলী বলেন, বিভিন্ন কলেজে আমাদের নির্বাচনী কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় অনেক প্রার্থী প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। যা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন। তবে এ বিষয়ে শাহেদুল খবির চৌধুরীকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

এই প্যানেলের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষা ক্যাডারের সমস্যা সমাধানে সবার মতামতের উপর ভিত্তি করে অগ্রাধিকার বিবেচনায় ১০০ দিনের কর্মসূচি প্রণয়ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত কোর কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ আপগ্রেডেশন ও পদ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে যথাসময়ে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৯৮৭  সালের সমীক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা।

Link copied!