সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে টানা ১১ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবার উপচার্যের বাসায় খাবার নিয়ে ঢুকতে দেয়নি শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ২টায় এ ধরণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আন্দোলনের ১১তম দিনে শিক্ষার্থী ও অবরুদ্ধ উপাচার্যের জন্য সোমবার বেলা ২টায় খাবার নিয়ে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান ও ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মখলিছুর রহমান কামরান। কিন্তু সে খাবার ফিরিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও সিলেট সিটি করপোরেশনের(সিসিক) দুই কাউন্সিলরকে উপাচার্যের বাসবভনে খাবার নিয়ে ঢুকতে দেয়নি তারা, এমনকি দেখাও করতে দেননি ভিসির সঙ্গে। পরে সেই খাবার ক্যাম্পাসের বাইরে গরিব ও পথশিশুদের মাঝে বিলিয়ে দেন কাউন্সিলর ইলিয়াছ ও কামরান। খাবারের মধ্যে ছিলো বিরিয়ানি ও পানি।
সিসিক কাউন্সিলর মো. মখলিছুর রহমান কামরান গণমাধ্যমে বলেন, “আমারা মানবিকতার তাড়নায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বাসায় আটকা পড়া উপাচার্যের জন্য কিছু খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সে খাবার ফিরিয়ে দেন এবং আমাদের ভিসির বাসায় ঢুকতে দেননি। পরে আমরা সেগুলো গরিবদের মধ্যে বিতরণ করি।”
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হওয়াসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণেগত ১৩ জানুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় আন্দোলনে নামেন হলের ছাত্রীরা। তারা হলের বাইরে অবস্থান নিয়ে হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি জানান।
১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।